শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩৮ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ডিজিটাল সনদ-আইডি কার্ড

ছবি-সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশিত ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

আজ রবিবার (২৬ জুন) নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উম্মোচন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল ও গাজীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সারা দেশে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড বিতরণ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগবে না। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরি হয়েছে, বাকি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরির কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই সার্টিফিকেট ও কার্ড উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বিতরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দু’টিই পাবেন, কিন্তু যেসব মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সার্টিফিকেটে ১৪ ধরনের ও ডিজিটাল আইডি কার্ডে ১২ ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে নিজ নিজ উপজেলায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ নিজ উপজেলায় দেওয়া অভিযোগের শুনানির ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে তা বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার নাম বাতিল করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ না করলে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকে না। তবে উপজেলা যে সব সময় সঠিক কাজ করে তা বলা যাবে না। তাই কেউ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে জামুকায় আপিল করতে পারবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীরঙ্গনা ও প্রবাসীরা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দেশে থাকা আর কেউ আবেদন করতে পারবেন না। কারণ যে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তালিকা সম্বলিত বুকলেট সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এসময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

৩৮ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ডিজিটাল সনদ-আইডি কার্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশিত ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

আজ রবিবার (২৬ জুন) নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উম্মোচন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল ও গাজীপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দেয়া হবে।

তিনি বলেন, সারা দেশে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড বিতরণ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগবে না। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরি হয়েছে, বাকি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরির কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই সার্টিফিকেট ও কার্ড উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বিতরণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দু’টিই পাবেন, কিন্তু যেসব মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সার্টিফিকেটে ১৪ ধরনের ও ডিজিটাল আইডি কার্ডে ১২ ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে নিজ নিজ উপজেলায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজ নিজ উপজেলায় দেওয়া অভিযোগের শুনানির ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে তা বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার নাম বাতিল করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ না করলে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকে না। তবে উপজেলা যে সব সময় সঠিক কাজ করে তা বলা যাবে না। তাই কেউ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে জামুকায় আপিল করতে পারবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীরঙ্গনা ও প্রবাসীরা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দেশে থাকা আর কেউ আবেদন করতে পারবেন না। কারণ যে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তালিকা সম্বলিত বুকলেট সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এসময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।