শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলার পলাতক আসামি ৭ বছর পর গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ ইউসুফ ০৭ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার।
গত ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন রাউজান-রাঙ্গামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকায় যুবলীগের কর্মী শহিদুল আলম (৩৫) কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী মুখোশ পরিধান করে অনেকটা সিনেমা স্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গুলি করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং- ১৪/২৮, তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ধারা-৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হত্যাকান্ডের পর মামলার ১নং আসামি র্শীষ সন্ত্রাসী আজিজ উদ্দিনসহ উল্লেখিত হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে গমন করে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পরবর্তীতে তারা ক্রমান্বয়ে দেশে ফিরে এসে পূর্বের ন্যায় এলাকায় আবার চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে ক্রাস সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ১নং ও মাস্টার মাইন্ড আসামি আজিজ উদ্দিন প্রকাশ আজিজ্যা প্রকাশ ইমু (৪৪)’কে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয় এবং বাকী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার ০৭ বছর ধরে পলাতক মোঃ ইউসুফ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ জুন ২০২২ ইং তারিখ ১৮০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রাউজান থানার পশ্চিম রাউজান গ্রামের মৃত বজল আহম্মদ সওদাগরের ছেলে মোঃ ইউসুফ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার মামলার এজাহারনামীয় পলাতক এবং উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ও অন্যতম প্রধান আসামী বলে স্বীকার করে।গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের করা হয়েছে।

যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলার পলাতক আসামি ৭ বছর পর গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
চট্টগ্রামের রাউজানে যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ ইউসুফ ০৭ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার।
গত ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন রাউজান-রাঙ্গামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকায় যুবলীগের কর্মী শহিদুল আলম (৩৫) কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী মুখোশ পরিধান করে অনেকটা সিনেমা স্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গুলি করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং- ১৪/২৮, তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ধারা-৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হত্যাকান্ডের পর মামলার ১নং আসামি র্শীষ সন্ত্রাসী আজিজ উদ্দিনসহ উল্লেখিত হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে গমন করে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর পরবর্তীতে তারা ক্রমান্বয়ে দেশে ফিরে এসে পূর্বের ন্যায় এলাকায় আবার চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে ক্রাস সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ১নং ও মাস্টার মাইন্ড আসামি আজিজ উদ্দিন প্রকাশ আজিজ্যা প্রকাশ ইমু (৪৪)’কে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক আটক করতে সক্ষম হয় এবং বাকী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার ০৭ বছর ধরে পলাতক মোঃ ইউসুফ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ জুন ২০২২ ইং তারিখ ১৮০৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রাউজান থানার পশ্চিম রাউজান গ্রামের মৃত বজল আহম্মদ সওদাগরের ছেলে মোঃ ইউসুফ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার মামলার এজাহারনামীয় পলাতক এবং উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ও অন্যতম প্রধান আসামী বলে স্বীকার করে।গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের করা হয়েছে।