হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর, এ কথার সাক্ষ্য দান করা যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার রাসূল, নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ্জ করা, রমযানে রোযা রাখা। (বুখারী হাদিস নং ৮)
হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো: কোন আমল বেশি ফযীলতপূর্ণ? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফযীলত রাখে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আবার বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফযীলত রাখে? তিনি বললেন, হজ্জে মাবরূর। (অর্থাৎ এমন হজ্জ যার মধ্যে কোনো গুনাহ করা হয় না।) (বুখারী হাদিস নং ১৫১৯)
হযরত আবূ হুরাইরা রা. বলেন: আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শুনেছি, তিনি বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য হজ্জ করবে এবং হজ্জের মধ্যে অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকবে সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ থেকে ফিরে আসবে যে দিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে ছিল। (সহীহ বুখারী হাদিস নং ১৫২১ ও সহীহ মুসলিম হাদিস নং ১৩৫০)
হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: এক উমরা আরেক উমরার মধ্যবর্তী গুনাহের জন্য কাফফারা, আর হজ্জে মাবরূরের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। (সহীহ বুখারী হাদিস নং-১৭৭৩ ও সহীহ মুসলিম হাদিস নং ১৩৪৯)
দীর্ঘ একটি হাদীসের অংশ বিশেষ, ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনুল আস রা.কে বলেন: তুমি কি জানো না যে, ইসলাম গ্রহণ করার দ্বারা এর পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, হিজরত করার দ্বারা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, আর হজ্জ করার দ্বারাও তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়? (সহীহ মুসলিম হাদিস নং ১৯২)
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা হজ্জ এবং উমরা একত্রে কর (তথা হজ্জে কিরান কর কিংবা হজ্জে তামাত্তু কর) কেননা হজ্জ এবং উমরা দৈন্য ও গুনাহ বিদূরিত করে। (সুনানে তিরমিযী হাদিস নং ৮১০)
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: বড়, ছোট, দূর্বল এবং মহিলাদের জিহাদ হল হজ্জ ও উমরা। (সুনানে নাসা‘ঈ হাদিস নং ২৬২৬)
হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: হাজী এবং হাজী যার জন্য ক্ষমা চায় তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। (সহীহ ইবনে খুযাইমা হাদিস নং ২৫১৬)
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।