বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • ২৭

ছবি-সংগৃহীত

চাপের মুখে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে সরকারের একটি সূত্র। গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ৪০ মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন তারা।

দেশ পরিচালনায় বরিসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা পদত্যাগ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সরকার থেকে আরও ৮ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়া জনসনের নত হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না আর। দিনের আরও পরের দিকে পদত্যাগ ঘোষণা দেবেন রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্র। এ সংক্রান্ত বিবৃতি জনসন দেবেন বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।

কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন টুইটারে বলেন, ‘তার পদত্যাগ অনিবার্য ছিল’। একটি দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী জনসন রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সৌজন্যমূলকভাবে কথা বলেছেন। তার পদত্যাগের পরিকল্পনা সম্পর্কে ঘোষণার আগে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন আইটিভির উপ-রাজনৈতিক সম্পাদক আনুশকা আস্থানা। এর আগে মন্ত্রীদের নাটকীয় পদত্যাগে সমর্থন হারালেও দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে টিকে থাকতে লড়াই জারি রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে লকডাউন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে বরিসকে। এমনকি গত মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন হলে তাতে রক্ষা পান তিনি। তবে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১২ মাসের মধ্যে তাকে আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না।

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস

প্রকাশের সময় : ০৪:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

চাপের মুখে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে সরকারের একটি সূত্র। গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ৪০ মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন তারা।

দেশ পরিচালনায় বরিসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা পদত্যাগ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সরকার থেকে আরও ৮ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়া জনসনের নত হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না আর। দিনের আরও পরের দিকে পদত্যাগ ঘোষণা দেবেন রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্র। এ সংক্রান্ত বিবৃতি জনসন দেবেন বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।

কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন টুইটারে বলেন, ‘তার পদত্যাগ অনিবার্য ছিল’। একটি দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী জনসন রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সৌজন্যমূলকভাবে কথা বলেছেন। তার পদত্যাগের পরিকল্পনা সম্পর্কে ঘোষণার আগে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন আইটিভির উপ-রাজনৈতিক সম্পাদক আনুশকা আস্থানা। এর আগে মন্ত্রীদের নাটকীয় পদত্যাগে সমর্থন হারালেও দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে টিকে থাকতে লড়াই জারি রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে লকডাউন বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন করে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে বরিসকে। এমনকি গত মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন হলে তাতে রক্ষা পান তিনি। তবে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী আগামী ১২ মাসের মধ্যে তাকে আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না।