শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীর লাশ দাফনে স্ত্রীর বাঁধা, ৩০ লাখ টাকা দাবি

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে মৃত প্রবাসীর স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর লাশ দাফনে বাঁধা, শাশুড়ি দেবর ও ননদদের কে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে সরেজমিন গিয়ে জানা যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুল আলম গত ১৯ শে জুন ২০২২, শারজায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। পরবর্তীতে মৃত সামশুল আলমের মেজ ভাই মনসুর আলম দুবাইয়ের সকল অফিসিয়াল আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন করে ৯৫২০ দিরহাম হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে গত ২৫ শে জুন লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই বিষয়ে রাউজান থানা ও আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনে অভিযোগকারী মামলারবাদী মৃতের ছোট ভাই মোঃ নেজাম উদ্দীন জানান আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ এবং লাশ দেশে এনে দাফনের বিষয়ে আমার ভাবি এবং তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও আমাদেরকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে নাই। লাশ দাফনের সময় আমার মৃত বড় ভাইয়ের স্ত্রী সামিরাহ খানম সেতু, শশুর সৈয়দ মোবারক হোসেন, সাং সুলতান পুর,৪ নং ওয়ার্ড, রাউজান পৌরসভা এলাকার ২০/২৫ জন লোকজন নিয়ে এসে লাশ দাফনে বাধা সৃষ্টি করে এবং লাশ দাফনের পূর্বে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে, আমরা টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে বিবাদী সৈয়দ মোবারক হোসেন ও তার মেয়ে(ভাবী) আমাদেরকে চরম বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকিও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। ওই সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা মৃত ভাইয়ের লাশ দাফন সম্পন্ন করি। পরবর্তীতে বিগত ২৯ শে জুন আমার অসুস্থ মা আমার বড় দুই বোনকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিনা নোটিশে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান লায়ন শাহাবুদ্দিন আরিফের সাথে সাক্ষাৎ করে আমার মা ও বোনদেরকে আমাদের নিজ বসত বাড়িতে নিয়ে আসি। সর্বশেষ গত ৩০শে জুন
রাউজান থানায় অভিযোগে উল্লেখিত ১ নং বিবাদী সঙ্গীয় ২০-২৫ জন ভাগ্যতান আমার ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায় আমাকে খুঁজতে থাকে এবং বিবাদী এই বলে হুমকি দেয় যে আমাকে মারবে, কাটিবে যে কোন উপায়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করিবে অন্যথায় প্রাণে মেরে লাশ গুম করিয়া ফেলবে মর্মে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার ঘরছাড়া আমাদের ঘরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ৩০ লক্ষ টাকা দাবির বিষয়ে বাদী নেজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও তার পরিবারের দাবি আমার ভাই দুবাইতে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে সে হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছি প্রকৃতপক্ষে আমার ভাই আমার ভাইয়ের বউয়ের পরকীয়া প্রেমের আসক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন আপত্তিক ছবি ভাইরাল হওয়ার বিষয় জেনে হার্ট এটাক করে মারা যায় যা দুবাই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
 উল্লেখিত ঘটনার সময় জাতীয় জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯ কল করে সহযোগিতা নিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এই বিষয়ে মাননীয় এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।। এই বিষয়ে ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লায়ন সাহাব উদ্দিন আরিফের সাথে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি(০১৭১০৫৩৬২৩১) উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার জগদীশ বড়ুয়া সাথে কথা বলে জানা যায় এ বিষয়ে সম্পন্ন ঘটনা সত্য না হলেও মৃত ব্যক্তির পরিবার চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে নির্ধারিত দিন বৈঠকে হাজির না হওয়ায় উক্ত বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এই বিষয়ে আস্থা নিয়ে এমপি ফজলুল করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ব্যক্তিগত নাম্বারে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে এই প্রতিনিধি সরেজমিন ঘুড়ে স্থানীয়দের মতামত জেনে স্থানীয় এম পি ও ফারাজ করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারীকে বিষয়টি অবহিত করলে উনারা বলেন স্যাররা এই মুহূর্তে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত, বিষয়টি উনাদের অবহিত করা হবে।
এই বিষয়ে মৃত প্রবাসী সামশুল আলমের স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগে উল্লেখিত তথ্য মিথ্য।এই বিষয়ে স্থানীয় এম পি মহোদয়কে জানানো হলে তিনি চেয়ারম্যান কে ব্যবস্থা নিতে বলেন পরবর্তীতে আমার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় কি হয়েছে কারা তালা মেরেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

প্রবাসীর লাশ দাফনে স্ত্রীর বাঁধা, ৩০ লাখ টাকা দাবি

প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে মৃত প্রবাসীর স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর লাশ দাফনে বাঁধা, শাশুড়ি দেবর ও ননদদের কে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে সরেজমিন গিয়ে জানা যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত শারজাহ প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুল আলম গত ১৯ শে জুন ২০২২, শারজায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। পরবর্তীতে মৃত সামশুল আলমের মেজ ভাই মনসুর আলম দুবাইয়ের সকল অফিসিয়াল আনুষ্টানিকতা সম্পন্ন করে ৯৫২০ দিরহাম হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে গত ২৫ শে জুন লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই বিষয়ে রাউজান থানা ও আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ফাউন্ডেশনে অভিযোগকারী মামলারবাদী মৃতের ছোট ভাই মোঃ নেজাম উদ্দীন জানান আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ এবং লাশ দেশে এনে দাফনের বিষয়ে আমার ভাবি এবং তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও আমাদেরকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে নাই। লাশ দাফনের সময় আমার মৃত বড় ভাইয়ের স্ত্রী সামিরাহ খানম সেতু, শশুর সৈয়দ মোবারক হোসেন, সাং সুলতান পুর,৪ নং ওয়ার্ড, রাউজান পৌরসভা এলাকার ২০/২৫ জন লোকজন নিয়ে এসে লাশ দাফনে বাধা সৃষ্টি করে এবং লাশ দাফনের পূর্বে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে, আমরা টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে বিবাদী সৈয়দ মোবারক হোসেন ও তার মেয়ে(ভাবী) আমাদেরকে চরম বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকিও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। ওই সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা মৃত ভাইয়ের লাশ দাফন সম্পন্ন করি। পরবর্তীতে বিগত ২৯ শে জুন আমার অসুস্থ মা আমার বড় দুই বোনকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিনা নোটিশে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান লায়ন শাহাবুদ্দিন আরিফের সাথে সাক্ষাৎ করে আমার মা ও বোনদেরকে আমাদের নিজ বসত বাড়িতে নিয়ে আসি। সর্বশেষ গত ৩০শে জুন
রাউজান থানায় অভিযোগে উল্লেখিত ১ নং বিবাদী সঙ্গীয় ২০-২৫ জন ভাগ্যতান আমার ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায় আমাকে খুঁজতে থাকে এবং বিবাদী এই বলে হুমকি দেয় যে আমাকে মারবে, কাটিবে যে কোন উপায়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করিবে অন্যথায় প্রাণে মেরে লাশ গুম করিয়া ফেলবে মর্মে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার ঘরছাড়া আমাদের ঘরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ৩০ লক্ষ টাকা দাবির বিষয়ে বাদী নেজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও তার পরিবারের দাবি আমার ভাই দুবাইতে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে সে হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছি প্রকৃতপক্ষে আমার ভাই আমার ভাইয়ের বউয়ের পরকীয়া প্রেমের আসক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন আপত্তিক ছবি ভাইরাল হওয়ার বিষয় জেনে হার্ট এটাক করে মারা যায় যা দুবাই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
 উল্লেখিত ঘটনার সময় জাতীয় জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯ কল করে সহযোগিতা নিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এই বিষয়ে মাননীয় এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।। এই বিষয়ে ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লায়ন সাহাব উদ্দিন আরিফের সাথে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি(০১৭১০৫৩৬২৩১) উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার জগদীশ বড়ুয়া সাথে কথা বলে জানা যায় এ বিষয়ে সম্পন্ন ঘটনা সত্য না হলেও মৃত ব্যক্তির পরিবার চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়ন পরিষদে নির্ধারিত দিন বৈঠকে হাজির না হওয়ায় উক্ত বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এই বিষয়ে আস্থা নিয়ে এমপি ফজলুল করিম চৌধুরীর ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ব্যক্তিগত নাম্বারে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে এই প্রতিনিধি সরেজমিন ঘুড়ে স্থানীয়দের মতামত জেনে স্থানীয় এম পি ও ফারাজ করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারীকে বিষয়টি অবহিত করলে উনারা বলেন স্যাররা এই মুহূর্তে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত, বিষয়টি উনাদের অবহিত করা হবে।
এই বিষয়ে মৃত প্রবাসী সামশুল আলমের স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগে উল্লেখিত তথ্য মিথ্য।এই বিষয়ে স্থানীয় এম পি মহোদয়কে জানানো হলে তিনি চেয়ারম্যান কে ব্যবস্থা নিতে বলেন পরবর্তীতে আমার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় কি হয়েছে কারা তালা মেরেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।