বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রেমিকা মোছা: শাপলা বেগম (২০) এর পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শাপলার স্বামী ফয়সাল আলী (২৫) কে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২১ সালের ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার পদমপুর গ্রামের শাপলা বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে সদর উপজেলার কাচনা তালতলি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ফয়সালকে বিয়ে করে। বিয়ের পরপরই তারা উভয়ে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই ফয়সাল যৌতুকের জন্য শাপলার কাছ থেকে টাকা-পয়সা দাবি করে আসছিলেন। ঈদ উপলক্ষে ফয়সালের পরিবার শাপলাকে সু-কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। শাপলার পরিবারের লোকজন জামাইয়ের জন্য একটি সোনার আংটি বানিয়ে শাপলাকে শনিবার রাতে ফয়সালের বাড়িতে পাঠান। শাপলা সেখানে গেলে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় শাপলা। এ সময় ফয়সাল ও তার পরিবারের লোকজন শাপলাকে বেধরক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রতিবেশী দারাজ গুরুতর আহত অবস্থায় শাপলাকে উদ্ধার করে একই গ্রামে তার খালা বেগমের বাড়িতে দিয়ে আসেন। বিষয়টি শাপলার পিতা জানার পর মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মামলায় শাপলার স্বামী মো: ফয়সাল আলী, তার পিতা: মো: আঃ খালেক, মাতা মাতা ফরিদা বেগম (৫০), ফিরোজ (৩০), মো: দরবার হোসেন ওরফে কশু (৫৭), মামুনি আক্তার (১৯) কে আসামী করা হয়।

বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল 

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার প্রেমিকা মোছা: শাপলা বেগম (২০) এর পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শাপলার স্বামী ফয়সাল আলী (২৫) কে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২১ সালের ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার পদমপুর গ্রামের শাপলা বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে সদর উপজেলার কাচনা তালতলি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ফয়সালকে বিয়ে করে। বিয়ের পরপরই তারা উভয়ে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই ফয়সাল যৌতুকের জন্য শাপলার কাছ থেকে টাকা-পয়সা দাবি করে আসছিলেন। ঈদ উপলক্ষে ফয়সালের পরিবার শাপলাকে সু-কৌশলে তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। শাপলার পরিবারের লোকজন জামাইয়ের জন্য একটি সোনার আংটি বানিয়ে শাপলাকে শনিবার রাতে ফয়সালের বাড়িতে পাঠান। শাপলা সেখানে গেলে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় শাপলা। এ সময় ফয়সাল ও তার পরিবারের লোকজন শাপলাকে বেধরক মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রতিবেশী দারাজ গুরুতর আহত অবস্থায় শাপলাকে উদ্ধার করে একই গ্রামে তার খালা বেগমের বাড়িতে দিয়ে আসেন। বিষয়টি শাপলার পিতা জানার পর মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মামলায় শাপলার স্বামী মো: ফয়সাল আলী, তার পিতা: মো: আঃ খালেক, মাতা মাতা ফরিদা বেগম (৫০), ফিরোজ (৩০), মো: দরবার হোসেন ওরফে কশু (৫৭), মামুনি আক্তার (১৯) কে আসামী করা হয়।