শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৎস্য ঘেরে গ্যাসের সন্ধান, পরিদর্শনে বাপেক্স

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ড্রেজারের পাইপ বসাতে গিয়ে গ্যাসের অস্তিত্ব মেলে।পরে ঘটনা জানাজানি হলে ভিড় করেন হাজারো উৎসুক জনতা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্র-চালিত জ্বালানি অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর ল্যাব বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।এর আগে উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন  বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে ৩ বিঘা জমিতে বালি তোলার জন্য মৎস্য ঘেরে পাইপ বসানোর সময় হঠাৎ পাইপ দিয়ে গ্যাস ওঠা শুরু হয়। হঠাৎ ৫০ ফুট উচ্চতায় গ্যাস, বালু ও পানি উপরের দিকে উঠতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ড্রাম দিয়ে পাইপ বসানো হয়।বুধবার (১৩ জুলাই) ১২টার দিকে মিঠাখালী এলাকার মধ্যপাড়া ঐ গ্যাস উদগিরণস্থল পরিদর্শন শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা হিসেবে গ্যাস সংগ্রহ করা হয়েছে।সংগ্রহকৃত নমুনার দুই স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন তৈরিতে প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।এ ব্যাপারে বাপেক্সর হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, নমুনা হিসেবে আমাদের ল্যাবে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এ গ্যাসের ধরন।তিনি আরো বলেন,এখানে যে গ্যাস ক্ষেত্রটি উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন জৈব পদার্থ থেকে এর উৎপত্তি হতে পারে।তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি শ্যালো মার্স গ্যাস (লতাপাতা, গুল্ম পচা) অর্থাৎ উপরিভাগের মিথেন গ্যাস। তারপরও দুই ধরনের পরীক্ষায় একটিতে যদি হায়ার হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে সেটি হবে ভূগর্ভস্থ দাহ্য মূল্যবান বাণিজ্যিক গ্যাস। আর হায়ার হাইড্রোকার্বন না থাকলে হবে ভূ-উপরিভাগের মিথেন (মাটির নিচের লতাপাতা-গুল্ম পচা গ্যাস)। যা কিছুদিন ধরে উঠতে উঠতে এক সময় শেষ হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ শেষে বাড়িসহ আশপাশে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ঘের ও বাড়ির মালিক দেলোয়ার শেখকে লাইন টেনে চুলায় গ্যাসের ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেন।স্থানিয় ইউপি সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারদার বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি জানতে পেরে নিজেও দেখতে গিয়েছিলাম। আমার দাবি, দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করুক।গ্রামবাসী বলছে এই ঘেরে গ্যাস আছে। দিয়াশলাই দিয়ে আগুন দিলেই জ্বলে উঠছে। সেই থেকে পাইপের গোড়ায় একটি সরু পাইপ বসিয়ে দিয়ে গ্যাসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এ গ্যাস দিয়ে রান্না করেছে।এ সময় বাপেক্সের অপর কর্মকর্তা খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. তৌহিদুর রহমান ও তেল,গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগেও এ গ্যাসের উদগিরণস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বাপেক্সের প্রাথমিক প্রতিনিধি দলও।এদিকে গ্যাস ওঠার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।কেউ কেউ সেলফি তুলছেন,আবার কেউ কেউ আগুন লিভিয়ে পুনরায় তা জ্বালিয়ে দেখছেন।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

মৎস্য ঘেরে গ্যাসের সন্ধান, পরিদর্শনে বাপেক্স

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ড্রেজারের পাইপ বসাতে গিয়ে গ্যাসের অস্তিত্ব মেলে।পরে ঘটনা জানাজানি হলে ভিড় করেন হাজারো উৎসুক জনতা।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্র-চালিত জ্বালানি অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর ল্যাব বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।এর আগে উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন  বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে ৩ বিঘা জমিতে বালি তোলার জন্য মৎস্য ঘেরে পাইপ বসানোর সময় হঠাৎ পাইপ দিয়ে গ্যাস ওঠা শুরু হয়। হঠাৎ ৫০ ফুট উচ্চতায় গ্যাস, বালু ও পানি উপরের দিকে উঠতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ড্রাম দিয়ে পাইপ বসানো হয়।বুধবার (১৩ জুলাই) ১২টার দিকে মিঠাখালী এলাকার মধ্যপাড়া ঐ গ্যাস উদগিরণস্থল পরিদর্শন শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা হিসেবে গ্যাস সংগ্রহ করা হয়েছে।সংগ্রহকৃত নমুনার দুই স্তরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন তৈরিতে প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম।এ ব্যাপারে বাপেক্সর হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, নমুনা হিসেবে আমাদের ল্যাবে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এ গ্যাসের ধরন।তিনি আরো বলেন,এখানে যে গ্যাস ক্ষেত্রটি উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন জৈব পদার্থ থেকে এর উৎপত্তি হতে পারে।তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি শ্যালো মার্স গ্যাস (লতাপাতা, গুল্ম পচা) অর্থাৎ উপরিভাগের মিথেন গ্যাস। তারপরও দুই ধরনের পরীক্ষায় একটিতে যদি হায়ার হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে সেটি হবে ভূগর্ভস্থ দাহ্য মূল্যবান বাণিজ্যিক গ্যাস। আর হায়ার হাইড্রোকার্বন না থাকলে হবে ভূ-উপরিভাগের মিথেন (মাটির নিচের লতাপাতা-গুল্ম পচা গ্যাস)। যা কিছুদিন ধরে উঠতে উঠতে এক সময় শেষ হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ শেষে বাড়িসহ আশপাশে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ঘের ও বাড়ির মালিক দেলোয়ার শেখকে লাইন টেনে চুলায় গ্যাসের ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেন।স্থানিয় ইউপি সদস্য উকিল উদ্দিন ইজারদার বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি জানতে পেরে নিজেও দেখতে গিয়েছিলাম। আমার দাবি, দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করুক।গ্রামবাসী বলছে এই ঘেরে গ্যাস আছে। দিয়াশলাই দিয়ে আগুন দিলেই জ্বলে উঠছে। সেই থেকে পাইপের গোড়ায় একটি সরু পাইপ বসিয়ে দিয়ে গ্যাসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এ গ্যাস দিয়ে রান্না করেছে।এ সময় বাপেক্সের অপর কর্মকর্তা খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. তৌহিদুর রহমান ও তেল,গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক মো. নুর আলম শেখ উপস্থিত ছিলেন।এর আগেও এ গ্যাসের উদগিরণস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বাপেক্সের প্রাথমিক প্রতিনিধি দলও।এদিকে গ্যাস ওঠার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।কেউ কেউ সেলফি তুলছেন,আবার কেউ কেউ আগুন লিভিয়ে পুনরায় তা জ্বালিয়ে দেখছেন।