শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করেন শ্বশুর-শাশুড়ি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহমুদা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা  উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামের আতোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসিডে ঝলসে গেছে গৃহবধূ শরীরের বিভিন্ন অংশ। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত গৃহবধূকে প্রাথমিক ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পিওরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মালেক মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে হামিদুলের। বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিলো গৃহবধূ মাহমুদার। মাঝে মধ্যে মাহমুদাকে মারধর করতো তারা৷ তাদের সংসারের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
এমতাবস্থায় বুধবার রাত ৮ টার দিকে শ্বশুর আতোয়ার ও শাশুড়ি হামিদা বেগম ওই গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে ঝলসে যায় তার শরীরের পিছনের অংশ। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত গৃহবধূর বাবা মালেক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তাতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মাহমুদা বলেন, আমার শ্বশুর- শাশুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমাকে একা পেয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এসিড দেন তারা। আমার শরীরের প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে আহত গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি৷ এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে।

গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করেন শ্বশুর-শাশুড়ি

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহমুদা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা  উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামের আতোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসিডে ঝলসে গেছে গৃহবধূ শরীরের বিভিন্ন অংশ। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত গৃহবধূকে প্রাথমিক ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পিওরপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মালেক মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ী গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে হামিদুলের। বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিলো গৃহবধূ মাহমুদার। মাঝে মধ্যে মাহমুদাকে মারধর করতো তারা৷ তাদের সংসারের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
এমতাবস্থায় বুধবার রাত ৮ টার দিকে শ্বশুর আতোয়ার ও শাশুড়ি হামিদা বেগম ওই গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে ঝলসে যায় তার শরীরের পিছনের অংশ। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত গৃহবধূর বাবা মালেক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তাতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মাহমুদা বলেন, আমার শ্বশুর- শাশুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমাকে একা পেয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এসিড দেন তারা। আমার শরীরের প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে আহত গৃহবধূর অবস্থা দেখেছি৷ এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে।