শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাঁশখালীতে জোড়া খুনের পলাতক আসামি তুলাতুলি থেকে আটক

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়…গত ২০ই অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন মনছুরিয়া বাজার এলাকায় বসতবাড়ির পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন কতিপয় দুস্কৃতিকারী আব্দুল খালেক এবং তার ভাতিজা টিপু সুলতানকে ধারালো রাম দা, এবং লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে বুকে, পিঠে, তলপেটে এবং মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এতে আব্দুল খালেক এবং টিপু সুলতান গুরুতর আহত হন। আসামীদের হাতে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র থাকায় এবং ঘটনার সময় আসামীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ায় আশেপাশের লোকজন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল খালেক মৃত্যু বরণ করে এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর টিপু সুলতানও মৃত্যু বরণ করেন।
 এ ঘটনায় নিহত ভিকটিম আব্দুল খালেক এর মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় ১০ জন নামীয় এবং ৫/৬ জন’কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৩ তাং-২১/১০/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা কান্ডের এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ ইসমাইল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন তুলাতুলী রোডের ওয়েডিং পার্ক কনভেনশন হলে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৮ জুলাই সোমবার বিকেল ৪:৩০ মিনিটে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইসমাইল (২৮), পিতা-জাহাঙ্গির আলম, সাং-দক্ষিণ জলদি, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী বলে স্বীকার করে।
এছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনায় করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নাশকতা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আরও ০২টি মামলা পাওয়া যায় আটককৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।

বাঁশখালীতে জোড়া খুনের পলাতক আসামি তুলাতুলি থেকে আটক

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়…গত ২০ই অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন মনছুরিয়া বাজার এলাকায় বসতবাড়ির পানি নিষ্কাশনের পাইপ বসানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন কতিপয় দুস্কৃতিকারী আব্দুল খালেক এবং তার ভাতিজা টিপু সুলতানকে ধারালো রাম দা, এবং লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে বুকে, পিঠে, তলপেটে এবং মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এতে আব্দুল খালেক এবং টিপু সুলতান গুরুতর আহত হন। আসামীদের হাতে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র থাকায় এবং ঘটনার সময় আসামীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ায় আশেপাশের লোকজন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল খালেক মৃত্যু বরণ করে এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর টিপু সুলতানও মৃত্যু বরণ করেন।
 এ ঘটনায় নিহত ভিকটিম আব্দুল খালেক এর মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় ১০ জন নামীয় এবং ৫/৬ জন’কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৩ তাং-২১/১০/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা কান্ডের এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ ইসমাইল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন তুলাতুলী রোডের ওয়েডিং পার্ক কনভেনশন হলে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৮ জুলাই সোমবার বিকেল ৪:৩০ মিনিটে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইসমাইল (২৮), পিতা-জাহাঙ্গির আলম, সাং-দক্ষিণ জলদি, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী বলে স্বীকার করে।
এছাড়াও সিডিএমএস পর্যালোচনায় করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নাশকতা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আরও ০২টি মামলা পাওয়া যায় আটককৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।