শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালিশে মারপিটের অভিযোগ, ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের নামে মামলা

ছবি-সংগৃহীত

যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের সালিশের সময় মারপিট করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) ঝাঁপা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো চন্ডিপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, ঝাঁপা গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম এবং মেয়ে তানিয়ো খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রুবিনা খাতুনের ভাই হেলাল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। আসামি তানিয়া খাতুন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে বিয়ে করে হেলালকে। হেলাল বিষয়টি মেনে নিয়ে স্ত্রী তানিয়ার যাবতীয় খরচ বহন করত। হেলাল তার স্ত্রীকে নগদ ১ লাখ টাকাসহ সোনার গহনা, আসবাবপত্র ক্রয় করতে ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৩শ’টাকা দেয়। তানিয়া তার মা ও পিতার পরামর্শে গত ১০ মে হেলালকে তালাক দেয়। এ সংবাদ জানতে পেরে হেলালের বোন রুবিনা খাতুন তার শ্বশুর বাড়ি যেয়ে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, সোনার গহনা ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে মামলা করতে চাইলে চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে মীমাংসা করে দেয়ার প্রস্তান দেয়। গত ১৮ জুলাই উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে তানিয়ার পরিবার কোন কিছুই ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তানিয়ার মা ও পিতা তাকে মারপিট শুরু করে। এরপর চেয়ারম্যান তাকে কিল ঘুষি মারে এবং লথি মেরে পরিষদের বারান্দা থেকে ফেলে দেয়। এব্যাপারে আদালতে একটি মামলা করেছেন তিনি ।

সালিশে মারপিটের অভিযোগ, ঝাঁপা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের নামে মামলা

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের সালিশের সময় মারপিট করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) ঝাঁপা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো চন্ডিপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, ঝাঁপা গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম এবং মেয়ে তানিয়ো খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রুবিনা খাতুনের ভাই হেলাল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। আসামি তানিয়া খাতুন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইলে বিয়ে করে হেলালকে। হেলাল বিষয়টি মেনে নিয়ে স্ত্রী তানিয়ার যাবতীয় খরচ বহন করত। হেলাল তার স্ত্রীকে নগদ ১ লাখ টাকাসহ সোনার গহনা, আসবাবপত্র ক্রয় করতে ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৩শ’টাকা দেয়। তানিয়া তার মা ও পিতার পরামর্শে গত ১০ মে হেলালকে তালাক দেয়। এ সংবাদ জানতে পেরে হেলালের বোন রুবিনা খাতুন তার শ্বশুর বাড়ি যেয়ে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, সোনার গহনা ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে মামলা করতে চাইলে চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে মীমাংসা করে দেয়ার প্রস্তান দেয়। গত ১৮ জুলাই উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে তানিয়ার পরিবার কোন কিছুই ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তানিয়ার মা ও পিতা তাকে মারপিট শুরু করে। এরপর চেয়ারম্যান তাকে কিল ঘুষি মারে এবং লথি মেরে পরিষদের বারান্দা থেকে ফেলে দেয়। এব্যাপারে আদালতে একটি মামলা করেছেন তিনি ।