বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরগঞ্জে মেয়ের ধর্ষণের খবরে বাবার মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মেয়ের ধর্ষণের খবর শুনে ধর্ষিতার বাবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে নির্যাতিতা কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মহেশ্চাতুল পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২১)। বাড়ির পাশে ছোট একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করেন বাবু। প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে বাবু গেল রমজানের ঈদের পর থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিশোরীর বাড়ি ও বাবুর বাড়ির মাঝামাঝি দোকানটি ছিল। কিশোরীর বাবা সংসারের ভার বহন করতে না পারায় মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর ২ বছর আগে গাজীপুরে গার্মেন্টেসএ শ্রমিকের কাজ নেয় মেয়েটি (১৪)। রমজানের ঈদে বাড়িতে আসার পর আর গাজীপুরে ফেরেনি সে। বাড়িতে আসার পর প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রলোভনে বাবু রাতে দোকানে নিয়ে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনা অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে’ প্রতিদিন বাবু তার দোকানে যেতে বলতেন মেয়েটিকে।

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চলালেও বিয়ের কথা বললে বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। মেয়েটি নিরুপায় হয়ে বিষয়টি বাবাকে জানালে ঘটনা শুনেই তার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিশোরী মেয়েটি জানায়, বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে সম্পর্ক করে বাবু। কিন্তু পরে তা অস্বীকার করেন।

বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় তার বাবা ও অন্য স্বজনদের জানালে রাত ৮টার দিকে তার বাবা এসব শুনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর বাবুর দোকানে গিয়ে সে কথা জানানোর পর পালিয়ে যান তিনি। আমি বাবুর বিচার চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান বলেন,বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে বাবুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

ঈশ্বরগঞ্জে মেয়ের ধর্ষণের খবরে বাবার মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মেয়ের ধর্ষণের খবর শুনে ধর্ষিতার বাবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে নির্যাতিতা কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মহেশ্চাতুল পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২১)। বাড়ির পাশে ছোট একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করেন বাবু। প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে বাবু গেল রমজানের ঈদের পর থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিশোরীর বাড়ি ও বাবুর বাড়ির মাঝামাঝি দোকানটি ছিল। কিশোরীর বাবা সংসারের ভার বহন করতে না পারায় মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর ২ বছর আগে গাজীপুরে গার্মেন্টেসএ শ্রমিকের কাজ নেয় মেয়েটি (১৪)। রমজানের ঈদে বাড়িতে আসার পর আর গাজীপুরে ফেরেনি সে। বাড়িতে আসার পর প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রলোভনে বাবু রাতে দোকানে নিয়ে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনা অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে’ প্রতিদিন বাবু তার দোকানে যেতে বলতেন মেয়েটিকে।

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চলালেও বিয়ের কথা বললে বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। মেয়েটি নিরুপায় হয়ে বিষয়টি বাবাকে জানালে ঘটনা শুনেই তার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। কিশোরী মেয়েটি জানায়, বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে সম্পর্ক করে বাবু। কিন্তু পরে তা অস্বীকার করেন।

বিষয়টি রোববার সন্ধ্যায় তার বাবা ও অন্য স্বজনদের জানালে রাত ৮টার দিকে তার বাবা এসব শুনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর বাবুর দোকানে গিয়ে সে কথা জানানোর পর পালিয়ে যান তিনি। আমি বাবুর বিচার চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান বলেন,বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা বাদী হয়ে সোমবার রাতে বাবুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।