শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে হুমায়ুন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয়পক্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সহশ্রাম-ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা ও সতরদ্রোন গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘটনাস্থলের এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত হুমায়ূন রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে। এছাড়াও আহতদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মজুর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে রায়খলা গ্রামের তালু হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া এবং সতরদ্রোন গ্রামের উবায়েদউল্লাহর ছেলে সাগর ও একই গ্রামের সাইদ খোকনের ছেলে এফরান মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সুজন মিয়া বাড়িতে গিয়ে আরোও লোকজন নিয়ে এসে মাঠের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর করে।
এ ভাংচুরের জের ধরে শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে হুমায়ুন প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত হয়। পরে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন মারা যায়। এদিকে সংঘর্ষের মধ্যে ধূলদিয়া বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদত হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪৫

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে হুমায়ুন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয়পক্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সহশ্রাম-ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা ও সতরদ্রোন গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কটিয়াদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘটনাস্থলের এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত হুমায়ূন রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে। এছাড়াও আহতদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মজুর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে রায়খলা গ্রামের তালু হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া এবং সতরদ্রোন গ্রামের উবায়েদউল্লাহর ছেলে সাগর ও একই গ্রামের সাইদ খোকনের ছেলে এফরান মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সুজন মিয়া বাড়িতে গিয়ে আরোও লোকজন নিয়ে এসে মাঠের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর করে।
এ ভাংচুরের জের ধরে শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে হুমায়ুন প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত হয়। পরে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন মারা যায়। এদিকে সংঘর্ষের মধ্যে ধূলদিয়া বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদত হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।