জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের মামলায় , ২৩ জুলাই রাতে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গিয়ে পর দিন রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির অদূরে ঘাস খেতে মিলল বৃদ্ধের মরদেহ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের, খান পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে হত্যার শিকার হাজী যদু খান নামের ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন সিংগাইর থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন , গভর্ণমেন্ট অফিসার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটিড ,প্রতিপক্ষ লোকজনের কাছ থেকে বিরোধপূর্ণ জমি ক্রয় করে, ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা করেন।
এ সময় নিহত হাজী যদু খানসহ তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে গভর্ণমেন্ট অফিসার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পক্ষ থেকে নিহতের ছেলেসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ২৩ জুলাই শনিবার রাতে নিহতের ভাতিজা আছান খানকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। নিহতের পরিবারসহ অন্য আসামিদের বাড়িতে গ্রেফতারে অভিযান চালান থানা পুলিশ। রাতেই পুলিশের ভয়ে অন্যত্রে গা-ঢাকা দেন হাজি যদু খানসহ মামলার অন্য আসামিরা। পরদিন ২৪ জুলাই রবিবার পালিয়ে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি ফিরলেও দুপুরে হাজী যদু খানের লাশ মিলে বাড়ির অদূরে উত্তর পাশের ঘাস ক্ষেতে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় খলিল মিয়ার মেয়ে মরিয়ম জানান, দুপুরের দিকে মুখোশধারী ৪ব্যক্তি লাশটি ফেলে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের ছোট ছেলে আতাল হক খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি প্রতিপক্ষদের দিয়ে আমার বাবাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ নিমর্ম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান সিংগাইর এসপি সার্কেল রেজাউল হক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মোল্লা।
এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।