শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বাগেরহাটে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (২০)। ২৪ জুলাই রবিবার
দিবাগত মধ্যরাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাশঁবাড়িয়া এলাকায় এই সংঘবদ্ধ
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দলবদ্ধ ধর্ষণে গুরুতর অসুস্থ্য ওই নারীকে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাগেরহাট সদর
হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্ল্যেখ
করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনো গ্রেফতার হয়নি কোন ধর্ষক।
পুলিশ বলছে ধর্ষকদের আটকে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে, ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার আশ্রয়ে থেকে ক্ষমতার দাপট
দেখানো যুবলীগ,ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন বখাটে রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে বড় বাশঁবাড়িয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা
এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশীরা গুরুত্বর অসুস্থ্য ওই নারীকে উদ্ধার করে সোমবার
সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান ও বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম
আজিজুল ইসলাম দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সাথে হাসপাতালে কথা বলেন ও বড় বাশঁবাড়িয়া গ্রামে
ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে প্রস্রাব করার জন্য
ঘরের বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বড়বাশঁবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫),
রাব্বি হাওলাদার (২২), জাহিদুল হাওলাদার (৩৫), সজীব হাওলাদার(২৫) ও রিয়াজ হাওলাদার (২৩) আমাকে জাপটে ধরে মুখ চেপে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে পর্যায়ক্রমে পাঁচজনেই আমাকে ধর্ষণ করে।
আমি এর সঠিক বিচার চাই এই বলে কাঁদতে থাকেন ধর্ষনের শিকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী। ওই নারী আরও
বলেন, সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় নানা ধরণের অপরাধ
করাই তাদের কাজ।
এ বিষয়ে ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মল্লিক মেহেদী হাসান তুপু বলেন, স্বামী
পরিত্যক্তা ওই নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় জড়িতরা আমার লোক না- ভালো করে চিনিওনা। আমার
জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাই।
ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার
সহযোগী কোন সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকলে ওরা হাইব্রিড। ওদের কারনে দলের ভাবমুর্তি
ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি দ্রুত এসব ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী
জানাই।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস জানান,
গুরুতর অসুস্থ্য ওই নারীকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দলবদ্ধ ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান জানান, দলবদ্ধ ধর্ষনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন। এখন ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

বাগেরহাটে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
বাগেরহাটে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (২০)। ২৪ জুলাই রবিবার
দিবাগত মধ্যরাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাশঁবাড়িয়া এলাকায় এই সংঘবদ্ধ
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দলবদ্ধ ধর্ষণে গুরুতর অসুস্থ্য ওই নারীকে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা বাগেরহাট সদর
হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্ল্যেখ
করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনো গ্রেফতার হয়নি কোন ধর্ষক।
পুলিশ বলছে ধর্ষকদের আটকে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে, ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার আশ্রয়ে থেকে ক্ষমতার দাপট
দেখানো যুবলীগ,ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন বখাটে রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে বড় বাশঁবাড়িয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা
এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশীরা গুরুত্বর অসুস্থ্য ওই নারীকে উদ্ধার করে সোমবার
সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান ও বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম
আজিজুল ইসলাম দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সাথে হাসপাতালে কথা বলেন ও বড় বাশঁবাড়িয়া গ্রামে
ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে প্রস্রাব করার জন্য
ঘরের বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বড়বাশঁবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫),
রাব্বি হাওলাদার (২২), জাহিদুল হাওলাদার (৩৫), সজীব হাওলাদার(২৫) ও রিয়াজ হাওলাদার (২৩) আমাকে জাপটে ধরে মুখ চেপে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে পর্যায়ক্রমে পাঁচজনেই আমাকে ধর্ষণ করে।
আমি এর সঠিক বিচার চাই এই বলে কাঁদতে থাকেন ধর্ষনের শিকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী। ওই নারী আরও
বলেন, সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এলাকায় নানা ধরণের অপরাধ
করাই তাদের কাজ।
এ বিষয়ে ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মল্লিক মেহেদী হাসান তুপু বলেন, স্বামী
পরিত্যক্তা ওই নারীকে ধর্ষনের ঘটনায় জড়িতরা আমার লোক না- ভালো করে চিনিওনা। আমার
জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাই।
ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার
সহযোগী কোন সংগঠনের সাথে জড়িত না থাকলে ওরা হাইব্রিড। ওদের কারনে দলের ভাবমুর্তি
ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি দ্রুত এসব ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী
জানাই।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস জানান,
গুরুতর অসুস্থ্য ওই নারীকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দলবদ্ধ ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান জানান, দলবদ্ধ ধর্ষনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন। এখন ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।