মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলমাকান্দায় নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত, সাত শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

আজ ২৬ জুলাই, ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে প্রতিবছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। কিন্তু দিনটি ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিতে পারেনি প্রশাসন।
১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই সকালে জেলার পাশ্ববর্তী দূর্গাপুরের বিরিশিরি থেকে কলমাকান্দায় পাকহানাদার ক্যাম্পে রসদ আসার খবর পান মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডার নাজমুল হক তারার নেতৃত্বে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে নাজিরপুর বাজারের সকল প্রবেশ পথে এম্বুস করেন।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পাকহানাদার বাহিনী না আসায় তাদের এম্বুস প্রত্যাহার করে তারা নিজ ক্যাম্পের পথে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে নাজিরপুর কাচারির কাছে পাকহানাদার বাহিনী তাদের উপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এই সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন ওই সাত মুক্তিযোদ্ধা।
শহীদ যারা হলেন- নেত্রকোণার ডা. আবদুল আজিজ, মো. ফজলুল হক ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নূরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।
সম্মুখ যুদ্ধ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরার ফুলবাড়ী সীমান্তে গনেশ্বরী নদীর পাড়ে ১১৭২নং পিলার সংলগ্ন স্থানে সমাহিত করা হয়। মহান ওই সাত আত্মত্যাগী শহীদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম সাংবাদিকদের জানান , এ বছর সীমিত আকারে এবার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নাজিরপুর স্মৃতিসৌধে এবং লেঙ্গুরায় সাত শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। পরে বন্যাদুর্গত আশ্রয়হীন ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা করে ও দুই ব্যান্ডিল টিন এবং বন্যাদুর্গত দুইশত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
জনপ্রিয়

কলমাকান্দায় নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত, সাত শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
আজ ২৬ জুলাই, ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে প্রতিবছর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। কিন্তু দিনটি ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিতে পারেনি প্রশাসন।
১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই সকালে জেলার পাশ্ববর্তী দূর্গাপুরের বিরিশিরি থেকে কলমাকান্দায় পাকহানাদার ক্যাম্পে রসদ আসার খবর পান মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডার নাজমুল হক তারার নেতৃত্বে ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে নাজিরপুর বাজারের সকল প্রবেশ পথে এম্বুস করেন।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর পাকহানাদার বাহিনী না আসায় তাদের এম্বুস প্রত্যাহার করে তারা নিজ ক্যাম্পের পথে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে নাজিরপুর কাচারির কাছে পাকহানাদার বাহিনী তাদের উপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এই সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন ওই সাত মুক্তিযোদ্ধা।
শহীদ যারা হলেন- নেত্রকোণার ডা. আবদুল আজিজ, মো. ফজলুল হক ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নূরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন।
সম্মুখ যুদ্ধ শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরার ফুলবাড়ী সীমান্তে গনেশ্বরী নদীর পাড়ে ১১৭২নং পিলার সংলগ্ন স্থানে সমাহিত করা হয়। মহান ওই সাত আত্মত্যাগী শহীদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম সাংবাদিকদের জানান , এ বছর সীমিত আকারে এবার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নাজিরপুর স্মৃতিসৌধে এবং লেঙ্গুরায় সাত শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। পরে বন্যাদুর্গত আশ্রয়হীন ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা করে ও দুই ব্যান্ডিল টিন এবং বন্যাদুর্গত দুইশত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।