যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামে শিশু শর্মিলা খাতুন (৯) কে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২য় আদালত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় ঘোষনা করেন। এবং আসামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারনে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুন বিকেলে ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর নয় বছর বয়সী মেয়ে শর্মিলা খাতুন বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যার পরেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করে। চারদিন পর ২৬ জুন সন্ধ্যায় জানতে পারেন হাকিমপুর গ্রামের জামান মৃধার আমবাগানে একটি শিশুর মৃত দেহ পড়ে আছে। এরপর পরিবারের লোকজন গিয়ে মৃত দেহটি শনাক্ত করে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ফকিরাবাদ গ্রামের তজিবর রহমানকে আটক করে। পরে সে স্বীকারোক্তি দেয় ধর্ষণের পরে ওই শিশুকে সে হত্যা করেছে। এরপর মরদেহটি গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে।
এ ঘটনায় চৌগাছা থানা পুলিশ ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হয় আজ বিচারক আসামি তজিবর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মৃতুদন্ডপ্রাপ্ত তজিবর রহমান চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিলধলা রামকৃষ্ণপুর এলাকার দবির উদ্দিন দরবার আলীর ছেলে। ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার শর্মীলা খাতুন (৯) চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে ও হাকিমপুর নূরানী মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানিয়েছেন এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।