শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণালংকারসহ মা-ছেলে আটক

কক্সবাজার-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় র‌্যাব-৭, চট্টগাম এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো কালে জানতে পারে যে, ইয়াবার বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে রোহিঙ্গারা সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার ও বিস্কুট উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পসমূহে পাচার করে আসছে এবং পরবর্তীতে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই অবৈধ স্বর্ণের বার চোরাচালান চক্রের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ছলিমপুর ইউপির ১০ নং ওয়ার্ডস্থ জঙ্গল ছলিমপুর একটি ভাড়া ঘরের ভিতর মজুদ করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ৩০ জুলাই শনিবার সকাল ১০ টায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আসমত উল্লাহ (২৪), পিতা-মৃত মোজাহের আহমেদ, বর্তমান ঠিকানা- সাং-জঙ্গল ছলিমপুর, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোছাঃ ছহুরা খাতুন (৬৮), স্বামী-মৃত মোজাহের আহমেদ, বর্তমান ঠিকানা- সাং-জঙ্গল ছলিমপুর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম‘দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের নিজ হেফাজতে থাকা কক্ষের ভিতর পশ্চিম পার্শ্বের সানসেড এর উপরে ০১টি প্লাষ্টিকের বাটির ভেতর লাল শপিং ব্যাগ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে চোরাচালানের মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা স্বর্ণের বার ০৮টি, স্বর্ণের চেইন ০৫টি, স্বর্ণের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণের কানের দুল ০৩ জোড়া, স্বর্ণের আংটি ০৩ টি, স্বর্ণের লকেট ০৪ টি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত স্বর্ণের গোল্ডবারের ০৮টি গোল্ড বারের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা এবং বাকী উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মুল্য ৫০ লক্ষ টাকা প্রায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০১২ সালে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সর্বশেষ তারা জঙ্গল সলিমপুর অবস্থান করে এই অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আসমত উল্লাহ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ইদগাহে অবস্থান করে অতঃপর ২০১৪ সালে এজেন্সির মাধ্যমে তার এলাকার চাচা আব্দুস সালাম তাকে পাসপোর্ট করে ভিসা দিয়ে তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদি আরবে সে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালে আগষ্ট মাস পর্যন্ত অবস্থান করে। ২০২০ সালে সে অবৈধভাবে অবস্থান করায় পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয় এবং তাকে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশে আসার পর ২০২০ সালের ডিসেম¦রে সে বিয়ে করে ইদগাহ হতে স্ত্রী ও মা সহ জংগল সলিমপুর আগমন করে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১,৫৩,০০০০০/-টাকা ।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত স¦র্ণ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণালংকারসহ মা-ছেলে আটক

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
কক্সবাজার-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় র‌্যাব-৭, চট্টগাম এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো কালে জানতে পারে যে, ইয়াবার বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে রোহিঙ্গারা সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার ও বিস্কুট উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পসমূহে পাচার করে আসছে এবং পরবর্তীতে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই অবৈধ স্বর্ণের বার চোরাচালান চক্রের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ছলিমপুর ইউপির ১০ নং ওয়ার্ডস্থ জঙ্গল ছলিমপুর একটি ভাড়া ঘরের ভিতর মজুদ করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ৩০ জুলাই শনিবার সকাল ১০ টায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আসমত উল্লাহ (২৪), পিতা-মৃত মোজাহের আহমেদ, বর্তমান ঠিকানা- সাং-জঙ্গল ছলিমপুর, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোছাঃ ছহুরা খাতুন (৬৮), স্বামী-মৃত মোজাহের আহমেদ, বর্তমান ঠিকানা- সাং-জঙ্গল ছলিমপুর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম‘দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের নিজ হেফাজতে থাকা কক্ষের ভিতর পশ্চিম পার্শ্বের সানসেড এর উপরে ০১টি প্লাষ্টিকের বাটির ভেতর লাল শপিং ব্যাগ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে চোরাচালানের মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা স্বর্ণের বার ০৮টি, স্বর্ণের চেইন ০৫টি, স্বর্ণের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণের কানের দুল ০৩ জোড়া, স্বর্ণের আংটি ০৩ টি, স্বর্ণের লকেট ০৪ টি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত স্বর্ণের গোল্ডবারের ০৮টি গোল্ড বারের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা এবং বাকী উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মুল্য ৫০ লক্ষ টাকা প্রায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০১২ সালে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সর্বশেষ তারা জঙ্গল সলিমপুর অবস্থান করে এই অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আসমত উল্লাহ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ইদগাহে অবস্থান করে অতঃপর ২০১৪ সালে এজেন্সির মাধ্যমে তার এলাকার চাচা আব্দুস সালাম তাকে পাসপোর্ট করে ভিসা দিয়ে তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদি আরবে সে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালে আগষ্ট মাস পর্যন্ত অবস্থান করে। ২০২০ সালে সে অবৈধভাবে অবস্থান করায় পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয় এবং তাকে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশে আসার পর ২০২০ সালের ডিসেম¦রে সে বিয়ে করে ইদগাহ হতে স্ত্রী ও মা সহ জংগল সলিমপুর আগমন করে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১,৫৩,০০০০০/-টাকা ।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত স¦র্ণ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।