বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হ্যাকারদের পকেটে, দায় নেবে কে?

ছবি-সংগৃহীত

যশোরের ঝিকরগাছায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের উপবৃত্তির টাকা পায়নি। মাঝখান থেকে অন্য কেউ উঠিয়ে নিয়েছে সেই টাকা।  এনিয়ে অভিযোগ জানালেও নগদ কোম্পানি অথবা স্কুল কতৃপক্ষ কেউ ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। কয়েকদিন পূর্বে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ২ কিস্তির টাকা একসাথে তাদের অভিভাবকের মোবাইল একাউন্টে সরকারি ভাবে প্রদান করা হয় এবং যাদের একাউন্ট স্কুল থেকে খুলে দেয়া হয়েছিল তাদের একাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়। আর এই ফ্রিজ একাউন্ট থেকেই হ্যাকাররা টাকা তুলে নিয়েছে।
কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেখ সোহেল আজম নামের একজন অভিভাবক জানান তার ছেলে শেখ তাহসিফ মাহির ১ম শ্রেণির ছাত্র। ছেলের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে এসেছে শুনে আমি আমার ০১৮৩১০৯৫২৪৬ নং এর নগদ একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গেলে দেখতে পাই একাউন্ট লক হয়ে আছে। একাউন্ট চালু করতে যশোর পোস্ট অফিসে নগদ সেবা ২নং কাউন্টারে গেলে তারা আমার যথাযথ আইডেনটিটি নিয়ে একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করে। পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টে লগ ইন করে দেখি ব্যালেন্সে এক টাকাও নেই। গত ২১/৭/২২ ইং তারিখ ০১৯০৬৪৯৩৯০২ এজেন্ট নং থেকে ১৪৫০ টাকা ক্যাশ আউট করে নিয়েছে। পাসওয়ার্ড না থাকায় লক করা একাউন্ট থেকে কিভাবে টাকা উঠানো হলো এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তি আমাকে বলেন, আপনি একটা অভিযোগ করে যান। হয়তো মঙ্গলবার আপনার টাকা আবার ফেরত আসতে পারে। তিনি বলেন, এই টাকা আত্মসাৎের ঘটনার সাথে কোম্পানির লোক জড়িত বলে আমার ধারণা। নয়তো আমার একাউন্টে টাকা আছে সেটা অন্যলোক কিভাবে জানবে বা উঠিয়ে নেওয়া টাকা কিভাবে ফেরত আসবে? পুনরায় কে দেবে এই টাকা?  কৃষ্ণনগর গ্রামের মুসলিমা, মোবারকপুরের রেহেনা, কীর্তিপুরের বিলকিস এরকম আরও অন্তত ২০ জন একই অভিযোগ করেন যে তাদের বন্ধ একাউন্ট নগদের কাছ থেকে পিন সংগ্রহ করে খুলে দেখা গেছে তাতে টাকা নেই। কেউ সেই টাকা ২১ জুলাই উঠিয়ে নিয়েছে। এব্যপারে জানতে নগদের জনসংযোগ কর্মকর্তা দেবব্রত মুখার্জিকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এদিকে আবু সাইদ নামের একজনের টাকা তুলে নেওয়ার পর তিনি কয়েক জায়গায় অভিযোগ করার পর তার একাউন্টে আবার টাকা আসার ঘটনা ঘটেছে। বাচ্চাদের উপবৃত্তির টাকা এভাবে লুট করে নেওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হ্যাকারদের পকেটে, দায় নেবে কে?

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
যশোরের ঝিকরগাছায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের উপবৃত্তির টাকা পায়নি। মাঝখান থেকে অন্য কেউ উঠিয়ে নিয়েছে সেই টাকা।  এনিয়ে অভিযোগ জানালেও নগদ কোম্পানি অথবা স্কুল কতৃপক্ষ কেউ ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। কয়েকদিন পূর্বে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ২ কিস্তির টাকা একসাথে তাদের অভিভাবকের মোবাইল একাউন্টে সরকারি ভাবে প্রদান করা হয় এবং যাদের একাউন্ট স্কুল থেকে খুলে দেয়া হয়েছিল তাদের একাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়। আর এই ফ্রিজ একাউন্ট থেকেই হ্যাকাররা টাকা তুলে নিয়েছে।
কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেখ সোহেল আজম নামের একজন অভিভাবক জানান তার ছেলে শেখ তাহসিফ মাহির ১ম শ্রেণির ছাত্র। ছেলের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে এসেছে শুনে আমি আমার ০১৮৩১০৯৫২৪৬ নং এর নগদ একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গেলে দেখতে পাই একাউন্ট লক হয়ে আছে। একাউন্ট চালু করতে যশোর পোস্ট অফিসে নগদ সেবা ২নং কাউন্টারে গেলে তারা আমার যথাযথ আইডেনটিটি নিয়ে একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করে। পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টে লগ ইন করে দেখি ব্যালেন্সে এক টাকাও নেই। গত ২১/৭/২২ ইং তারিখ ০১৯০৬৪৯৩৯০২ এজেন্ট নং থেকে ১৪৫০ টাকা ক্যাশ আউট করে নিয়েছে। পাসওয়ার্ড না থাকায় লক করা একাউন্ট থেকে কিভাবে টাকা উঠানো হলো এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তি আমাকে বলেন, আপনি একটা অভিযোগ করে যান। হয়তো মঙ্গলবার আপনার টাকা আবার ফেরত আসতে পারে। তিনি বলেন, এই টাকা আত্মসাৎের ঘটনার সাথে কোম্পানির লোক জড়িত বলে আমার ধারণা। নয়তো আমার একাউন্টে টাকা আছে সেটা অন্যলোক কিভাবে জানবে বা উঠিয়ে নেওয়া টাকা কিভাবে ফেরত আসবে? পুনরায় কে দেবে এই টাকা?  কৃষ্ণনগর গ্রামের মুসলিমা, মোবারকপুরের রেহেনা, কীর্তিপুরের বিলকিস এরকম আরও অন্তত ২০ জন একই অভিযোগ করেন যে তাদের বন্ধ একাউন্ট নগদের কাছ থেকে পিন সংগ্রহ করে খুলে দেখা গেছে তাতে টাকা নেই। কেউ সেই টাকা ২১ জুলাই উঠিয়ে নিয়েছে। এব্যপারে জানতে নগদের জনসংযোগ কর্মকর্তা দেবব্রত মুখার্জিকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এদিকে আবু সাইদ নামের একজনের টাকা তুলে নেওয়ার পর তিনি কয়েক জায়গায় অভিযোগ করার পর তার একাউন্টে আবার টাকা আসার ঘটনা ঘটেছে। বাচ্চাদের উপবৃত্তির টাকা এভাবে লুট করে নেওয়ার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকবৃন্দ।