শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পেলোসির সাক্ষাৎ

ছবি-আর এন জেট

চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি ও নিন্দা সত্ত্বেও মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার এই সফর নিয়ে চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা।

বুধবার (৩ আগস্ট) তাইওয়ান সফরত পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। খবর বিবিসির

সাক্ষাৎকালে সিনিয়র মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি বলেছেন, চল্লিশ বছর আগে, আমেরিকা সবসময় তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার প্রতিনিধি দলের এই সফর ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে পরিষ্কার’ করতে এসেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে ‘পরিত্যাগ’ করবে না।

পেলোসির এ সফরের আগে চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে পেলোসির সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’।

এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে তাইপেতে পৌঁছানোর পর বুধবার সকালে তাইওয়ানের পার্লামেন্টে যান পেলোসি। সেখানে তাইওয়ানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাই চি-চ্যাং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় পেলোসি বলেন, ‘বন্ধুত্বের খাতিরে আমরা তাইওয়ানে এসেছি, এই অঞ্চলের শান্তির জন্য আমরা এখানে এসেছি।

এদিকে পেলোসি তাইওয়ানে অবতরণের পরপরই দ্রুত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে মঙ্গলবার গভীর রাতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে।

চীনের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেংকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘তাইওয়ানে পেলোসির সফর অত্যন্ত জঘন্য এবং এর পরিণতি হবে অত্যন্ত গুরুতর।

তাইওয়ানে হামলা চালাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উইউ কিয়ান বলেছেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তারা সামরিক অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালাব।

তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পেলোসির সাক্ষাৎ

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

চীনের অব্যাহত হুঁশিয়ারি ও নিন্দা সত্ত্বেও মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার এই সফর নিয়ে চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা।

বুধবার (৩ আগস্ট) তাইওয়ান সফরত পেলোসি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। খবর বিবিসির

সাক্ষাৎকালে সিনিয়র মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি বলেছেন, চল্লিশ বছর আগে, আমেরিকা সবসময় তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার প্রতিনিধি দলের এই সফর ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে পরিষ্কার’ করতে এসেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে ‘পরিত্যাগ’ করবে না।

পেলোসির এ সফরের আগে চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলে পেলোসির সফরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’।

এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে তাইপেতে পৌঁছানোর পর বুধবার সকালে তাইওয়ানের পার্লামেন্টে যান পেলোসি। সেখানে তাইওয়ানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাই চি-চ্যাং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় পেলোসি বলেন, ‘বন্ধুত্বের খাতিরে আমরা তাইওয়ানে এসেছি, এই অঞ্চলের শান্তির জন্য আমরা এখানে এসেছি।

এদিকে পেলোসি তাইওয়ানে অবতরণের পরপরই দ্রুত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে মঙ্গলবার গভীর রাতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে।

চীনের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেংকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘তাইওয়ানে পেলোসির সফর অত্যন্ত জঘন্য এবং এর পরিণতি হবে অত্যন্ত গুরুতর।

তাইওয়ানে হামলা চালাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উইউ কিয়ান বলেছেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তারা সামরিক অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালাব।