শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ান সীমান্ত ঘিরে সাঁজোয়া যান-সামরিক সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে চীন

ছবি-এনডিটিভি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তাইওয়ানের সীমান্ত ঘিরে সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে চীন।

টুইটারে ‘ইয়িন সুরা’ নামক একটি হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত সড়ক দিয়ে তাইওয়ানের সীমান্তের দিকে সারি সারি ট্যাঙ্ক যাচ্ছে।

আরো একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছার দিন গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী মোতায়েন শুরু করেছে চীন।

চীনের হুমকি অগ্রাহ্য করে গতকাল পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর চীন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছে। চীনের তরফ থেকে পেলোসিকে সফরের আগে তাকে না আসার জন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনয়িংয়ের দাবি, পেলোসি কোনো ব্যক্তিগত কাজে তাইওয়ান যাননি। যুক্তরাষ্ট্র যদি ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় হস্তক্ষেপ করা বন্ধ না করে তাহলে ‘বৈধভাবে যেকোনো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। পেলোসির সফর চীনা নীতির পরিপন্থী হবে বলেও শি জিনপিং সরকার দাবি করেছে।

এর আগে, চীনের হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের বহরও।

স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নয় তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে চীন। তবে বিদেশি কোনো দেশের কর্মকর্তার তাইওয়ান সফরকে দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতির অংশ মনে করে বেইজিং।

এর ফলেই পেলোসির তাইওয়ান সফরে নড়েচড়ে বসেছে চীন। দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হুমকি। এরই মধ্যে সামরিক অভিযানের ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছে চীন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে ফের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন ‘এক-চীন নীতি’তে বিশ্বাসী, যেখানে চীন এককভাবে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত আর তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অঞ্চল। তবে স্বশাসিত অঞ্চলটির সাথে ওয়াশিংটনের অঘোষিত সম্পর্ক ও সামরিক বন্ধন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের পার্লামেন্টে বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার দেশ তাইওয়ানের পাশে রয়েছে। তাইওয়ানের সাহসী ও গণতান্ত্রিক অবস্থানের জন্য তিনি ধন্যবাদও জানান।

অন্যদিকে, অখন্ড চীনের জন্য সর্বদা উত্তর কোরিয়া দেশটির পাশে বলে ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশ্ববাসী কি আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ অবলোকন করতে যাচ্ছে কি না তা বলা মুশকিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাইওয়ান সীমান্ত ঘিরে সাঁজোয়া যান-সামরিক সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে চীন

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তাইওয়ানের সীমান্ত ঘিরে সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে চীন।

টুইটারে ‘ইয়িন সুরা’ নামক একটি হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত সড়ক দিয়ে তাইওয়ানের সীমান্তের দিকে সারি সারি ট্যাঙ্ক যাচ্ছে।

আরো একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছার দিন গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী মোতায়েন শুরু করেছে চীন।

চীনের হুমকি অগ্রাহ্য করে গতকাল পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছানোর পর চীন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছে। চীনের তরফ থেকে পেলোসিকে সফরের আগে তাকে না আসার জন্য সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনয়িংয়ের দাবি, পেলোসি কোনো ব্যক্তিগত কাজে তাইওয়ান যাননি। যুক্তরাষ্ট্র যদি ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় হস্তক্ষেপ করা বন্ধ না করে তাহলে ‘বৈধভাবে যেকোনো পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। পেলোসির সফর চীনা নীতির পরিপন্থী হবে বলেও শি জিনপিং সরকার দাবি করেছে।

এর আগে, চীনের হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের বহরও।

স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নয় তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে চীন। তবে বিদেশি কোনো দেশের কর্মকর্তার তাইওয়ান সফরকে দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতির অংশ মনে করে বেইজিং।

এর ফলেই পেলোসির তাইওয়ান সফরে নড়েচড়ে বসেছে চীন। দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হুমকি। এরই মধ্যে সামরিক অভিযানের ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছে চীন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে ফের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন ‘এক-চীন নীতি’তে বিশ্বাসী, যেখানে চীন এককভাবে স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত আর তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অঞ্চল। তবে স্বশাসিত অঞ্চলটির সাথে ওয়াশিংটনের অঘোষিত সম্পর্ক ও সামরিক বন্ধন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের পার্লামেন্টে বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে তার দেশ তাইওয়ানের পাশে রয়েছে। তাইওয়ানের সাহসী ও গণতান্ত্রিক অবস্থানের জন্য তিনি ধন্যবাদও জানান।

অন্যদিকে, অখন্ড চীনের জন্য সর্বদা উত্তর কোরিয়া দেশটির পাশে বলে ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশ্ববাসী কি আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ অবলোকন করতে যাচ্ছে কি না তা বলা মুশকিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।