মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংগীতশিল্পী আঁচল আত্মহত্যা করলেন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে

 ঢাকা ব্যুরো।। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী আঁচল সাহা মারা গেছেন। তিনি রবিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। আঁচল উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া গ্রামের দীপক কুমার সাহার মেয়ে এবং ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।

আঁচল সাহার মামা পলাশ সাহা জানান, আঁচল প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেল থেকে পড়ালেখা করতেন। রবিবার রাত ১০ টার দিকে তার হোস্টেলের এক সহপাঠী আমাদেরকে ফোন দিয়ে আঁচল খুবই অসুস্থ বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা রাতেই ঢাকায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আঁচল আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার কোন কারণ এখন পর্যন্ত আঁচলের পরিবার জানে না বলে উল্লেখ করেন তার মামা পলাশ সাহা। আঁচল সাহা একজন ভালো সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পী।

তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেন। উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঁচল নাচ গান পরিবেশন করতেন। শিশুবেলায় তিনি উল্লাপাড়ার কচিকাঁচার মেলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে বিভিন্নস্থানে সঙ্গীত ও নাচ পরিবেশন করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আঁচল নাচ গান করতেন।

তারা বলেন, আচল সাহার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। উল্লাপাড়াবাসী একজন খ্যাতিমান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীকে হারালো।

সংগীতশিল্পী আঁচল আত্মহত্যা করলেন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

 ঢাকা ব্যুরো।। প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী আঁচল সাহা মারা গেছেন। তিনি রবিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। আঁচল উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া গ্রামের দীপক কুমার সাহার মেয়ে এবং ঢাকা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।

আঁচল সাহার মামা পলাশ সাহা জানান, আঁচল প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় একটি মহিলা হোস্টেল থেকে পড়ালেখা করতেন। রবিবার রাত ১০ টার দিকে তার হোস্টেলের এক সহপাঠী আমাদেরকে ফোন দিয়ে আঁচল খুবই অসুস্থ বলে জানায়। পরে পরিবারের লোকজন নিয়ে আমরা রাতেই ঢাকায় যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আঁচল আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার কোন কারণ এখন পর্যন্ত আঁচলের পরিবার জানে না বলে উল্লেখ করেন তার মামা পলাশ সাহা। আঁচল সাহা একজন ভালো সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পী।

তিনি ভালো কবিতা আবৃত্তি করতেন। উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঁচল নাচ গান পরিবেশন করতেন। শিশুবেলায় তিনি উল্লাপাড়ার কচিকাঁচার মেলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে বিভিন্নস্থানে সঙ্গীত ও নাচ পরিবেশন করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আঁচল নাচ গান করতেন।

তারা বলেন, আচল সাহার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। উল্লাপাড়াবাসী একজন খ্যাতিমান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীকে হারালো।