বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির পথ বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি- সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন… বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে পারবে। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কিনতে পারলে আমরা কেন পারব না? রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলে জ্বালানি তেল আমদানি করার পথ বের করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে নানা ধরনের পথ বের করতে বলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, দরকার হয় রুশ মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়টি দেখতে হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ একটু ভালো থাকলেই নানা রকম ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। আসলে যারা এটা করছে, তারা এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরকারের কেনার সামর্থ থাকতেও, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বিশ্ববাজার।

একনেক সভাপতি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যার কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই বিষয়গুলো সরকার অবশ্যই উপলব্ধি করে।

সরকারপ্রধান বলেন, নিম্নবিত্ত মানুষ বাঁচাতে, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনশীল রাখার আরও কিছু পদক্ষেপ বা উদ্যোগ নেয়া একান্তভাবে জরুরি বলেই মনে করছি আমরা। তিনি বলেন, মানুষের জন্যই তো রাজনীতি করি। তাই মানুষের কষ্ট হলে আমারও কষ্ট হয়।

জনপ্রিয়

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির পথ বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন… বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে পারবে। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কিনতে পারলে আমরা কেন পারব না? রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলে জ্বালানি তেল আমদানি করার পথ বের করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে নানা ধরনের পথ বের করতে বলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, দরকার হয় রুশ মুদ্রা রুবলে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়টি দেখতে হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ একটু ভালো থাকলেই নানা রকম ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। আসলে যারা এটা করছে, তারা এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরকারের কেনার সামর্থ থাকতেও, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বিশ্ববাজার।

একনেক সভাপতি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যার কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই বিষয়গুলো সরকার অবশ্যই উপলব্ধি করে।

সরকারপ্রধান বলেন, নিম্নবিত্ত মানুষ বাঁচাতে, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনশীল রাখার আরও কিছু পদক্ষেপ বা উদ্যোগ নেয়া একান্তভাবে জরুরি বলেই মনে করছি আমরা। তিনি বলেন, মানুষের জন্যই তো রাজনীতি করি। তাই মানুষের কষ্ট হলে আমারও কষ্ট হয়।