শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোক দিবস উপলক্ষে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখা।

পরিষদের বিশ^বিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্মÑসাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, আলোচক হিসেবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল এবং স্বাগত বক্তা ছিলেন জাতীয় শোক দিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উদযাপন কমিটির আহŸায়ক ও বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, যে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা পায়, সে স্বাধীনতাবিরোধী। বঙ্গবন্ধু হলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আমরা যদি শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস জানাতে পারি তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্য সত্যিকার অর্থে কিছু করতে পেরেছি বলে বলতে পারবো।

মতিউর রহমান লাল্টু বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চরমভাবে এদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে তাই সঠিক ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়তে উৎসাহিত করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত নেতাকে ঘাতকরা হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের সবার থেকে আলাদা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা ও ভরসা ছিলো। সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমে নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলবদের আদর্শিক বংশধরেরা আজো সক্রিয় আছে।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।

শোক দিবস উপলক্ষে ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনা সভা

প্রকাশের সময় : ০৬:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় শাখা।

পরিষদের বিশ^বিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়াও প্রধান আলোচক হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্মÑসাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, আলোচক হিসেবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল এবং স্বাগত বক্তা ছিলেন জাতীয় শোক দিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উদযাপন কমিটির আহŸায়ক ও বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, যে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা পায়, সে স্বাধীনতাবিরোধী। বঙ্গবন্ধু হলেন গণতন্ত্রের মানসপুত্র। আমরা যদি শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস জানাতে পারি তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্য সত্যিকার অর্থে কিছু করতে পেরেছি বলে বলতে পারবো।

মতিউর রহমান লাল্টু বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চরমভাবে এদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে তাই সঠিক ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়তে উৎসাহিত করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত নেতাকে ঘাতকরা হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের সবার থেকে আলাদা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা ও ভরসা ছিলো। সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমে নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলবদের আদর্শিক বংশধরেরা আজো সক্রিয় আছে।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।