শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

থাইল্যান্ডে একযোগে ১৭ স্থানে বিস্ফোরণ

ছবি-সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে একযোগে ১৭ স্থানে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। এটি একটি সমন্বিত হামলা বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনটি প্রদেশের নিত্যপণ্যের দোকান ও গ্যাস স্টেশন লক্ষ্য করে এসব বোমা ও আগুন হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই কম মাত্রার বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে। মূলত মুসলিম অধ্যুষিত পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং শৃঙ্খলা প্রদেশের অংশ বিশেষে স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাই সরকার।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে সাত হাজার তিনশ’রও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ ডিপ সাউথ ওয়াচ। এ সংঘাত নিরসনে ২০১৩ সালে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও বারবার তা বিঘ্নিত হয়েছে। মহামারির কারণে দুই বছর আলোচনা বন্ধ থাকার পর এই বছরের শুরুতে মূল বিদ্রোহী গ্রুপ বারিসান রিভোলুসি ন্যাসোনালের সাথে শান্তি আলোচনা ফের শুরু করেছে থাই সরকার।

থাইল্যান্ডে একযোগে ১৭ স্থানে বিস্ফোরণ

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে একযোগে ১৭ স্থানে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। এটি একটি সমন্বিত হামলা বলে ধারণা করছে দেশটির সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনটি প্রদেশের নিত্যপণ্যের দোকান ও গ্যাস স্টেশন লক্ষ্য করে এসব বোমা ও আগুন হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো সংগঠন এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই কম মাত্রার বিদ্রোহী তৎপরতা চলছে। মূলত মুসলিম অধ্যুষিত পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং শৃঙ্খলা প্রদেশের অংশ বিশেষে স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাই সরকার।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে সাত হাজার তিনশ’রও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ ডিপ সাউথ ওয়াচ। এ সংঘাত নিরসনে ২০১৩ সালে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও বারবার তা বিঘ্নিত হয়েছে। মহামারির কারণে দুই বছর আলোচনা বন্ধ থাকার পর এই বছরের শুরুতে মূল বিদ্রোহী গ্রুপ বারিসান রিভোলুসি ন্যাসোনালের সাথে শান্তি আলোচনা ফের শুরু করেছে থাই সরকার।