শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার পথে ভুটান!

ছবি-সংগৃহীত

ভুটানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। এতে শিগগিরই দেশটি শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। খবর এনডিটিভির

তবে দেশটি শ্রীলঙ্কার মতো হওয়া থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই নিয়ে ভুটান ইউটিলিটি যানবাহন, ভারী আর্থমাভিং মেশিন ও কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়া সমস্ত যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেশটির সরকার একথা জানিয়েছে।

চীন ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত এই দেশটির জনসংখ্যা আট লাখেরও কম। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তেল ও শস্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে এই দেশের জনগণ।

ভুটানের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটন শিল্পের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু জিরো-কোভিড নীতির কারণে গত দুই বছর যাবত প্রায় পর্যটন শূন্য দেশটি। এতেই দেশটির রিজার্ভে টান পরে।

২০২১ সালের এপ্রিলে ভুটানের হাতে ছিল ১৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। আট মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরে ভুটানের হাতে রিজার্ভ পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার।

ভুটানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুন মাস থেকে ভুটান আট হাজারেরও বেশি বিদেশি গাড়ি আমদানি করেছে। বিদেশি মুদ্রা কমে আসার প্রধান কারণগুলো মধ্যে এটিও অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা না করতে পারলে ভুটানের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতোই হতে পারে বলে আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার পথে ভুটান!

প্রকাশের সময় : ০৪:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

ভুটানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। এতে শিগগিরই দেশটি শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। খবর এনডিটিভির

তবে দেশটি শ্রীলঙ্কার মতো হওয়া থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এই নিয়ে ভুটান ইউটিলিটি যানবাহন, ভারী আর্থমাভিং মেশিন ও কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়া সমস্ত যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দেশটির সরকার একথা জানিয়েছে।

চীন ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত এই দেশটির জনসংখ্যা আট লাখেরও কম। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তেল ও শস্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে এই দেশের জনগণ।

ভুটানের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটন শিল্পের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু জিরো-কোভিড নীতির কারণে গত দুই বছর যাবত প্রায় পর্যটন শূন্য দেশটি। এতেই দেশটির রিজার্ভে টান পরে।

২০২১ সালের এপ্রিলে ভুটানের হাতে ছিল ১৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। আট মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরে ভুটানের হাতে রিজার্ভ পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার।

ভুটানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুন মাস থেকে ভুটান আট হাজারেরও বেশি বিদেশি গাড়ি আমদানি করেছে। বিদেশি মুদ্রা কমে আসার প্রধান কারণগুলো মধ্যে এটিও অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা না করতে পারলে ভুটানের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতোই হতে পারে বলে আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে।