শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবারও মিয়ানমারের মর্টারশেল পড়ল বাংলাদেশে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪৫

ছবি-আমাদের সময়

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবারও মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ে।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। সেখানকার গোলযোগের কারণে আমাদের সীমান্তে বসবাসকারীরা কিছুটা আতঙ্কে ছিল। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে।

মো. তারিকুল ইসলাম জানান, আজও মিয়ানমার সীমান্তে হেলিকপ্টার দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও নিরাপত্তায় কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধবিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার দেখা যায়। এসময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮-১০টি গোলা ফায়ার করে এবং হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০-৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়। সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ারকৃত ২টি গোলা পতিত হয়।

এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার ২বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করা হয় যা এখনো চলমান রয়েছে এবং মিয়ানমার মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও গোলাগুলির শব্দে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তারা সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রতিদিনই গুলি বর্ষণ করে। আমাদের ৩৯ ও ৪০নং পিলারে বা জিরো পয়েন্টে এসেও গুলি পড়ছে। একটা ক্যাম্প থেকে তারা ফায়ার করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরকান আর্মির সংগঠিত যুদ্ধে ব্যবহৃত পরপর দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের কয়েক’শ গজ ভেতরের তুমব্রু গ্রামে এসে পড়ে। যদিও মর্টারশেল দুটি বিস্ফোরিত হয়নি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আবারও মিয়ানমারের মর্টারশেল পড়ল বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবারও মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ে।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। সেখানকার গোলযোগের কারণে আমাদের সীমান্তে বসবাসকারীরা কিছুটা আতঙ্কে ছিল। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে।

মো. তারিকুল ইসলাম জানান, আজও মিয়ানমার সীমান্তে হেলিকপ্টার দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও নিরাপত্তায় কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধবিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার দেখা যায়। এসময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮-১০টি গোলা ফায়ার করে এবং হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০-৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়। সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ারকৃত ২টি গোলা পতিত হয়।

এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার ২বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করা হয় যা এখনো চলমান রয়েছে এবং মিয়ানমার মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও গোলাগুলির শব্দে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তারা সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রতিদিনই গুলি বর্ষণ করে। আমাদের ৩৯ ও ৪০নং পিলারে বা জিরো পয়েন্টে এসেও গুলি পড়ছে। একটা ক্যাম্প থেকে তারা ফায়ার করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরকান আর্মির সংগঠিত যুদ্ধে ব্যবহৃত পরপর দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের কয়েক’শ গজ ভেতরের তুমব্রু গ্রামে এসে পড়ে। যদিও মর্টারশেল দুটি বিস্ফোরিত হয়নি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।