শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দ্বার খুলছে কাল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪৫

ছবি : ইউএনবি

আগামীকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে পিরোজপুরের কঁচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। আর এতে ফেরি পারাপারের ভোগান্তি পুরোপুরি শেষ হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী কঁচা। যে নদীটি বরিশাল ও খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচলে গতির ছেদ ঘটিয়ে ছিল। দূরত্ব সৃষ্টি করেছিল বেনাপোল স্থল বন্দর ও পটুয়াখালীর পায়রা গভীর নৌ বন্দরের মাঝে।

দূরত্ব ঘোঁচাতে ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর এ নদীর কাউখালীর বেকুটিয়া প্রান্তে ও সদরের কুমিরমারা প্রান্তে শুরু করে ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ কাজ।

৮০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ ও ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি করোনাসহ বেশ কিছু কারণে নির্মাণে বাঁধার সৃষ্টি হলেও নির্ধারিত সময়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই এর কাজ শেষ হয়। এদিকে সেতুটি চালুর অপেক্ষায় মানুষের মনে বইছে আনন্দের বন্যা। ব্রিজটি চালু হলে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের যোগাযোগের সময় বাঁচবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, তেমনি এ জেলায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান।

আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, এরইমধ্যে উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের অধীর অপেক্ষায় আছি।

২০০০ সালে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঁচা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর কঁচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা কাজ একটি প্রকল্পের অধীনে হাতে নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সেতুর নির্মাণকাজ খুব একটা এগোয়নি।

পরে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আমলে প্রকল্পটি গতি পায় এবং চীন সরকারের আর্থিক অনুদানে ২০১৭ সালের শেষে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দ্বার খুলছে কাল

প্রকাশের সময় : ১০:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

আগামীকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে পিরোজপুরের কঁচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। আর এতে ফেরি পারাপারের ভোগান্তি পুরোপুরি শেষ হবে।

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী কঁচা। যে নদীটি বরিশাল ও খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের যান চলাচলে গতির ছেদ ঘটিয়ে ছিল। দূরত্ব সৃষ্টি করেছিল বেনাপোল স্থল বন্দর ও পটুয়াখালীর পায়রা গভীর নৌ বন্দরের মাঝে।

দূরত্ব ঘোঁচাতে ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর এ নদীর কাউখালীর বেকুটিয়া প্রান্তে ও সদরের কুমিরমারা প্রান্তে শুরু করে ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ কাজ।

৮০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৯৮ মিটার দীর্ঘ ও ১৩.৪০ মিটার প্রস্থের এ সেতুটি করোনাসহ বেশ কিছু কারণে নির্মাণে বাঁধার সৃষ্টি হলেও নির্ধারিত সময়ে ২০২২ সালের জুন মাসেই এর কাজ শেষ হয়। এদিকে সেতুটি চালুর অপেক্ষায় মানুষের মনে বইছে আনন্দের বন্যা। ব্রিজটি চালু হলে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের যোগাযোগের সময় বাঁচবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, তেমনি এ জেলায় গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান।

আয়োজক কমিটির সভাপতি এবং পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, এরইমধ্যে উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা ৮ম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের অধীর অপেক্ষায় আছি।

২০০০ সালে পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঁচা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরপর কঁচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা কাজ একটি প্রকল্পের অধীনে হাতে নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সেতুর নির্মাণকাজ খুব একটা এগোয়নি।

পরে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের আমলে প্রকল্পটি গতি পায় এবং চীন সরকারের আর্থিক অনুদানে ২০১৭ সালের শেষে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়।