শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে

রাশিয়া থেকে রূপপুর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে জাহাজ ‘এমভি ইউনিউইজডম’।সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৬টায় জাহাজটি রূপপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪০০ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো রাশিয়া থেকে মালামালবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে এসেছে।জাহাজটি সরাসরি রাশিয়া থেকে ১৪০০ মেট্রিক টন কার্গো নিয়ে মোংলা বন্দরের ০৭ নং জেটিতে এসে নোঙ্গর করেছ। জাহাজটির শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন ম্যাক শিপিং।এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ “এমভি ড্রাগনবল”মোংলা সমুদ্র বন্দরে এসেছিল।জাহাজটিতে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের ২ হাজার ৮৬২টি প্যাকেজে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রপাতি এসেছে।এসব পণ্যের ওজন প্রায় ৫ হাজার ৬০১ মেট্টিক টন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা ১৪০০ মেট্টিক টন মালামাল নিয়ে আসে জাহাজটি। জাহাজ থেকে জেটিতে এ যন্ত্রাংশ খালাসের পরপরই তা সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আমদানি, খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।’
অধিক সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় দেশের বৃহৎ সব মেগা প্রকল্পের মালামাল এখন মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সাথে দুরত্ব কমে যাওয়ার ফলে সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে ‘এমভি ফেসকো আলিশ’ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিলো। তারপর যুদ্ধ শুরু সাড়ে ৯ মাস পর গত ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি কামিল্লা’ আসে এই বন্দরে। তার ৪ দিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে ৫ আগস্ট এসেছে ‘এমভি ড্রাগনবল’।

রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাশিয়া থেকে রূপপুর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে জাহাজ ‘এমভি ইউনিউইজডম’।সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ) বিকেল ৬টায় জাহাজটি রূপপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪০০ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো রাশিয়া থেকে মালামালবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে এসেছে।জাহাজটি সরাসরি রাশিয়া থেকে ১৪০০ মেট্রিক টন কার্গো নিয়ে মোংলা বন্দরের ০৭ নং জেটিতে এসে নোঙ্গর করেছ। জাহাজটির শিপিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন ম্যাক শিপিং।এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) দ্বিতীয়বারের মতো পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ “এমভি ড্রাগনবল”মোংলা সমুদ্র বন্দরে এসেছিল।জাহাজটিতে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের ২ হাজার ৮৬২টি প্যাকেজে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রপাতি এসেছে।এসব পণ্যের ওজন প্রায় ৫ হাজার ৬০১ মেট্টিক টন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা ১৪০০ মেট্টিক টন মালামাল নিয়ে আসে জাহাজটি। জাহাজ থেকে জেটিতে এ যন্ত্রাংশ খালাসের পরপরই তা সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আমদানি, খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।’
অধিক সাশ্রয়ী ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় দেশের বৃহৎ সব মেগা প্রকল্পের মালামাল এখন মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সাথে দুরত্ব কমে যাওয়ার ফলে সকল ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে ‘এমভি ফেসকো আলিশ’ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিলো। তারপর যুদ্ধ শুরু সাড়ে ৯ মাস পর গত ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি কামিল্লা’ আসে এই বন্দরে। তার ৪ দিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে ৫ আগস্ট এসেছে ‘এমভি ড্রাগনবল’।