শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কেজিতে ৩ টাকা বাড়ল লবণের দাম

ছবি-সংগৃহীত

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণের দাম কেজিপ্রতি তিন টাকা বেড়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে এখন এসিআই, ফ্রেশ, তীর, কনফিডেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লবণ এ বাড়তি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চলতি বছর মাঠ পর্যায়ে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। একইসাথে মাঠ পর্যায়ে লবণের দামও অনেক কম। সেখানে কেজিপ্রতি লবণের মূল্য মাত্র ১১ টাকা। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে লবণের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক বছরে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও প্যাকেটজাত লবণের দাম বাড়েনি। এখন বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে গত মাসের শুরুতে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, উল্লিখিত ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি প্যাকেটজাত লবণ ৩৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা দেড় মাস আগে ছিল ৩৫ টাকা।

রাজধানীর দক্ষিণ কুড়িল এলাকার জোয়ারসাহারা বাজারে বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় পর বাজারে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে। সব কোম্পানি একসাথে কেজিতে তিন টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটের গায়ে মূল্য ৩৮ টাকা করেছে।

তিনি আরো বলেন, পাইকারিতে ২৫ কেজির একটি বস্তায় লবণের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। ৭৫০ টাকার বস্তা এখন ৮০০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে।

মিল মালিকরা বলছেন, মিল পর্যায়ে লবণের দাম বাড়েনি। এখনো ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি আবু হানিফ ভূঁইয়া বলেন, মিল পর্যায়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই লবণের দাম স্থিতিশীল। দাম বাড়ানো হয়নি। যেসব কোম্পানি প্যাকেটজাত করে লবণ বাজারজাত করছে, তারা হয়তো বর্তমানে অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে প্যাকেটজাত লবণ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পণ্য পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই প্যাকেটজাত লবণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

হিলিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

এবার কেজিতে ৩ টাকা বাড়ল লবণের দাম

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণের দাম কেজিপ্রতি তিন টাকা বেড়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে এখন এসিআই, ফ্রেশ, তীর, কনফিডেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লবণ এ বাড়তি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চলতি বছর মাঠ পর্যায়ে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে। একইসাথে মাঠ পর্যায়ে লবণের দামও অনেক কম। সেখানে কেজিপ্রতি লবণের মূল্য মাত্র ১১ টাকা। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে লবণের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক বছরে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও প্যাকেটজাত লবণের দাম বাড়েনি। এখন বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে গত মাসের শুরুতে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, উল্লিখিত ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি প্যাকেটজাত লবণ ৩৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা দেড় মাস আগে ছিল ৩৫ টাকা।

রাজধানীর দক্ষিণ কুড়িল এলাকার জোয়ারসাহারা বাজারে বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় পর বাজারে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে। সব কোম্পানি একসাথে কেজিতে তিন টাকা বাড়িয়ে প্যাকেটের গায়ে মূল্য ৩৮ টাকা করেছে।

তিনি আরো বলেন, পাইকারিতে ২৫ কেজির একটি বস্তায় লবণের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। ৭৫০ টাকার বস্তা এখন ৮০০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে।

মিল মালিকরা বলছেন, মিল পর্যায়ে লবণের দাম বাড়েনি। এখনো ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি আবু হানিফ ভূঁইয়া বলেন, মিল পর্যায়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই লবণের দাম স্থিতিশীল। দাম বাড়ানো হয়নি। যেসব কোম্পানি প্যাকেটজাত করে লবণ বাজারজাত করছে, তারা হয়তো বর্তমানে অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে প্যাকেটজাত লবণ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পণ্য পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন কারণে তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই প্যাকেটজাত লবণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।