শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই নির্বাচনের অযোগ্য –কাদের

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা ব্যুরো।।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান দুজনেই আইনের দৃষ্টিতে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় একজন পলাতক আসামি কীভাবে দলটির নেতা হয় সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অবর্তমানে তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে তারা দুজনেই নির্বাচনের অযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।

রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়ন প্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ।

তিনি আরও বলেন, জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।

সরকার নাকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত বলেও মনে করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ সব দলের রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি কোনো সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়।

ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের সময় কমিশন গঠনে তারা কি কারও মতামত নিয়েছিল? কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছিল কারা? দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল কারা? বিএনপি কি এসব ভুলে গেছে?

বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। কোনো প্রকার সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে বিএনপি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই নির্বাচনের অযোগ্য –কাদের

প্রকাশের সময় : ০৫:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢাকা ব্যুরো।।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমান দুজনেই আইনের দৃষ্টিতে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় একজন পলাতক আসামি কীভাবে দলটির নেতা হয় সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অবর্তমানে তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে তারা দুজনেই নির্বাচনের অযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।

রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়ন প্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ।

তিনি আরও বলেন, জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।

সরকার নাকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত বলেও মনে করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ সব দলের রাজনৈতিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি কোনো সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়।

ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের সময় কমিশন গঠনে তারা কি কারও মতামত নিয়েছিল? কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছিল কারা? দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল কারা? বিএনপি কি এসব ভুলে গেছে?

বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। কোনো প্রকার সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে বিএনপি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।