শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবার কথায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ছাড়ল শিশু শিক্ষার্থী, চিঠি ভাইরাল

বাবাকে লেখা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বাবার উপদেশমূলক চিঠিতে ছেলে বর্জন করেছে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস।

ফুলবাড়ী পৌরশহরের পূর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান রতন ও শিক্ষিকা শারমিন আক্তার দম্পতির ছেলে সাদমান সাকিব রূপন (১৩)। সে শহরের সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

ছেলেকে ইলেকট্রনিক্স ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করার উপদেশ দিয়ে একটি চিঠি লিখে ছেলের পড়ার টেবিলে রেখে দেন বাবা নাজমুল হাসান রতন। ছেলে ওই চিঠি পেয়ে বাবা উপদেশ অনুসরণ করে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বর্জন করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় চিঠির পাল্টা উত্তরের মাধ্যমে। ছেলের সেই চিঠি পেয়ে আবেগঘণ একটি স্ট্যাটাস লিখে ফেইস বুকে পোস্ট করেন বাবা রতন। বাবার লেখা সেই পোস্ট এখন ফেইস বুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

হাতেরলেখা সেই চিঠিতে বাবা নাজমুল হাসান রতনকে ছেলে সাদমান সাকিব রূপন লিখেছে, (“বাপু তোমার জন্য”) বাবা-মা সবসময় সন্তানের ভালই চায়, তোমার কথামত আমি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সহমূহ বর্জন করেছি। তোমার আদেশ-উপদেশ মানতে আমি বাধ্য। কারণ তুমি আমার বাবা। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি বিরত থাকব, সেইসব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সমূহ থেকে, যেগুলো তুমি নিষেধ করেছো। অতএব: অতি বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, তোমার দাবি আমি মানতে রাজী। “ইতি সাদমান সাকিব রূপন” (বাপ্পু)।

ছেলের ওই চিঠি পেয়ে তার বাবা নাজমুল হাসান রতন ওই চিঠিসহ তাদের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে স্ট্যাটাসে আবেগঘন বার্তায় লেখেছেন, আমার অস্তিত্ব, আমার স্বপ্ন, আমার অহংকার, আমার ছোট্ট হৃদয়ের সবটুকু অংশ জুড়ে যার বিচরণ, সে আমার ছেলে, আমার রূপন। জীবনের সত্যি কারের পূর্ণতা তখনি প্রাপ্তি হয় যখন কোন ছেলে বাবার আদর্শে বড় হয়। পার্থিব জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারেনা। এটা বিধাতা প্রাপ্ত এমন একটা খেলনা যা পরজীবনের পথ প্রশস্ত করে, যদি সে সঠিক থাকে। আর বাবা হিসেবে সন্তানের কাছে কিবা প্রাপ্তির থাকে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন হয় শান্তির ও শৃঙ্খলার। “প্রত্যাশায় বাপু”

শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব রুপন জানায়, তার বা-মাকে সে অত্যন্ত সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে, তাই বাবার উপদেশ পূরণ করতেই তার এমন সিদ্ধান্ত। বাবা না বলা পর্যন্ত সে আর কখনো ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবে না।

এ বিষয়ে নাজমুল হাসান রতন বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইসের যেমন সুফল রয়েছে, তেমনি এর কুফলও কম নয়। তাই তিনি তার ছেলেকে এসব ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এই ডিভাইসগুলো ব্যবহারে সে অন্য মনস্ক হয়ে পড়বে, এতে তার পড়াশুণার ক্ষতি হবে। এগুলো ব্যবহারের একটা সময় এবং বয়স রয়েছে, যখন সে ভালোমন্দ বিচার করতে পারবে তখন সে এগুলো ব্যবহার করবে।

বার্তা/এন

ইসরায়েল ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আক্রমণ’ও চালায়,তার জবাব হবে কঠোর-ইরানের প্রেসিডেন্ট

বাবার কথায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ছাড়ল শিশু শিক্ষার্থী, চিঠি ভাইরাল

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাবাকে লেখা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বাবার উপদেশমূলক চিঠিতে ছেলে বর্জন করেছে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস।

ফুলবাড়ী পৌরশহরের পূর্ব গৌরীপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান রতন ও শিক্ষিকা শারমিন আক্তার দম্পতির ছেলে সাদমান সাকিব রূপন (১৩)। সে শহরের সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।

ছেলেকে ইলেকট্রনিক্স ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করার উপদেশ দিয়ে একটি চিঠি লিখে ছেলের পড়ার টেবিলে রেখে দেন বাবা নাজমুল হাসান রতন। ছেলে ওই চিঠি পেয়ে বাবা উপদেশ অনুসরণ করে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বর্জন করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় চিঠির পাল্টা উত্তরের মাধ্যমে। ছেলের সেই চিঠি পেয়ে আবেগঘণ একটি স্ট্যাটাস লিখে ফেইস বুকে পোস্ট করেন বাবা রতন। বাবার লেখা সেই পোস্ট এখন ফেইস বুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

হাতেরলেখা সেই চিঠিতে বাবা নাজমুল হাসান রতনকে ছেলে সাদমান সাকিব রূপন লিখেছে, (“বাপু তোমার জন্য”) বাবা-মা সবসময় সন্তানের ভালই চায়, তোমার কথামত আমি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সহমূহ বর্জন করেছি। তোমার আদেশ-উপদেশ মানতে আমি বাধ্য। কারণ তুমি আমার বাবা। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি বিরত থাকব, সেইসব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সমূহ থেকে, যেগুলো তুমি নিষেধ করেছো। অতএব: অতি বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, তোমার দাবি আমি মানতে রাজী। “ইতি সাদমান সাকিব রূপন” (বাপ্পু)।

ছেলের ওই চিঠি পেয়ে তার বাবা নাজমুল হাসান রতন ওই চিঠিসহ তাদের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে স্ট্যাটাসে আবেগঘন বার্তায় লেখেছেন, আমার অস্তিত্ব, আমার স্বপ্ন, আমার অহংকার, আমার ছোট্ট হৃদয়ের সবটুকু অংশ জুড়ে যার বিচরণ, সে আমার ছেলে, আমার রূপন। জীবনের সত্যি কারের পূর্ণতা তখনি প্রাপ্তি হয় যখন কোন ছেলে বাবার আদর্শে বড় হয়। পার্থিব জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর হতে পারেনা। এটা বিধাতা প্রাপ্ত এমন একটা খেলনা যা পরজীবনের পথ প্রশস্ত করে, যদি সে সঠিক থাকে। আর বাবা হিসেবে সন্তানের কাছে কিবা প্রাপ্তির থাকে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন হয় শান্তির ও শৃঙ্খলার। “প্রত্যাশায় বাপু”

শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব রুপন জানায়, তার বা-মাকে সে অত্যন্ত সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে, তাই বাবার উপদেশ পূরণ করতেই তার এমন সিদ্ধান্ত। বাবা না বলা পর্যন্ত সে আর কখনো ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করবে না।

এ বিষয়ে নাজমুল হাসান রতন বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল ডিভাইসের যেমন সুফল রয়েছে, তেমনি এর কুফলও কম নয়। তাই তিনি তার ছেলেকে এসব ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। কারণ এই ডিভাইসগুলো ব্যবহারে সে অন্য মনস্ক হয়ে পড়বে, এতে তার পড়াশুণার ক্ষতি হবে। এগুলো ব্যবহারের একটা সময় এবং বয়স রয়েছে, যখন সে ভালোমন্দ বিচার করতে পারবে তখন সে এগুলো ব্যবহার করবে।

বার্তা/এন