শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোহাগী- স্বপ্নাকে নিয়ে গর্বিত রাণীশংকৈলবাসী

নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব এশিয়ার ফুটবলে নারী দলে এবারই প্রথম। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুড়িতে ভারতের বিপক্ষে খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার নেপালের কাঠমুন্ডুতে নেপালের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
ইতিহাস গড়া এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দুই নারী ফুটবলার স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসগু। তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ চাম্পিয়ান হওয়ায় পুরো জেলা সহ উপজেলাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। খেলা শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। স্বপ্না আর সোহাগীকে নিয়ে গর্বিত রাণীশংকৈলসহ ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী।
সোহাগী কিসগু ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের গুলজার কিসকোর মেয়ে ও সপ্না রাণী একই ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের নীরেন চন্দ্র রায়ের মেয়ে । তারা দুজনেই রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়।
রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমীলা ফুটবল একাডেমির কর্ণধার তাজুল ইসলাম জানান,  বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের জন্য গর্বের। আমি আমাদের একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ টিমকে অভিনন্দন জানাই। এ বিজয় আমাদের জন্য অনেক গর্বের। সেই সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জন্য একটু বেশি গর্বের। কারণ আজকে আমাদের জেলার স্বপ্না ও সোহাগী দুইজন খেলোয়াড় খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা তাদের দুইজনকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। আমি আশা করছি তারা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মান আরও সম্মুন্নত রাখবে।
স্বপ্না ও সোহাগীর ফুটবলের পথচলার যাত্রার সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তাদের বাড়ি। তাদের পারিবারিক অবস্থা অনেক গরিব। দিন আনে দিন খায়। আমি চিন্তা করলাম তাদের নিয়ে একটা ফুটবল একাডেমি করি। তারপর তাদের পরিবারের কাছে প্রস্তাব দেই। তারা সকলে বিষয়টিতে সম্মতি দেয়। তারপর অনেক পরিশ্রমের ফলে আজ তারা দেশের হয়ে বাইরে খেলছে। শুরুতে অনেকে নানা কটু মন্তব্য করছেন, তবে আমরা পিছিয়ে যাইনি। তার বাস্তব প্রমাণ আজ পুরো বিশ্ব দেখেছে। আমরা আসা রাখছি আমাদের একাডেমি থেকে আরও স্বপ্না ও সোহাগী তৈরি হবে।
স্বপ্না ও সোহাগীকে সাধুবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ বলেন, প্রথমত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে যেহেতু আমাদের রাণীশংকৈল উপজেলার দুজন খেলোয়াড় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে এতে আমরা গর্বিত। আমি রাঙ্গাটুঙ্গী প্রমীলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলামকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।উনার কঠোর পরিশ্রম আর আমাদের প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে যায়গা করে নিয়েছে সপ্না ও সোহাগী। আমরা আশা করছি যেভাবে আমাদের নারী ফুটবলাররা এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনে আমাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।তারা আগামি ৫ আক্টোবর ছুটিতে আসলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বার্তা।/এন

সোহাগী- স্বপ্নাকে নিয়ে গর্বিত রাণীশংকৈলবাসী

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব এশিয়ার ফুটবলে নারী দলে এবারই প্রথম। এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুড়িতে ভারতের বিপক্ষে খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার নেপালের কাঠমুন্ডুতে নেপালের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
ইতিহাস গড়া এই খেলায় অংশগ্রহণ করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার দুই নারী ফুটবলার স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসগু। তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ চাম্পিয়ান হওয়ায় পুরো জেলা সহ উপজেলাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইছে। খেলা শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। স্বপ্না আর সোহাগীকে নিয়ে গর্বিত রাণীশংকৈলসহ ঠাকুরগাঁও জেলাবাসী।
সোহাগী কিসগু ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের গুলজার কিসকোর মেয়ে ও সপ্না রাণী একই ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের নীরেন চন্দ্র রায়ের মেয়ে । তারা দুজনেই রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়।
রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমীলা ফুটবল একাডেমির কর্ণধার তাজুল ইসলাম জানান,  বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের জন্য গর্বের। আমি আমাদের একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ টিমকে অভিনন্দন জানাই। এ বিজয় আমাদের জন্য অনেক গর্বের। সেই সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জন্য একটু বেশি গর্বের। কারণ আজকে আমাদের জেলার স্বপ্না ও সোহাগী দুইজন খেলোয়াড় খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা তাদের দুইজনকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। আমি আশা করছি তারা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মান আরও সম্মুন্নত রাখবে।
স্বপ্না ও সোহাগীর ফুটবলের পথচলার যাত্রার সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তাদের বাড়ি। তাদের পারিবারিক অবস্থা অনেক গরিব। দিন আনে দিন খায়। আমি চিন্তা করলাম তাদের নিয়ে একটা ফুটবল একাডেমি করি। তারপর তাদের পরিবারের কাছে প্রস্তাব দেই। তারা সকলে বিষয়টিতে সম্মতি দেয়। তারপর অনেক পরিশ্রমের ফলে আজ তারা দেশের হয়ে বাইরে খেলছে। শুরুতে অনেকে নানা কটু মন্তব্য করছেন, তবে আমরা পিছিয়ে যাইনি। তার বাস্তব প্রমাণ আজ পুরো বিশ্ব দেখেছে। আমরা আসা রাখছি আমাদের একাডেমি থেকে আরও স্বপ্না ও সোহাগী তৈরি হবে।
স্বপ্না ও সোহাগীকে সাধুবাদ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ বলেন, প্রথমত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে যেহেতু আমাদের রাণীশংকৈল উপজেলার দুজন খেলোয়াড় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে এতে আমরা গর্বিত। আমি রাঙ্গাটুঙ্গী প্রমীলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলামকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।উনার কঠোর পরিশ্রম আর আমাদের প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে যায়গা করে নিয়েছে সপ্না ও সোহাগী। আমরা আশা করছি যেভাবে আমাদের নারী ফুটবলাররা এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনে আমাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।তারা আগামি ৫ আক্টোবর ছুটিতে আসলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বার্তা।/এন