শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর, মামলা-তদন্ত কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যেও কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইবি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে দÐবিধির ১৪৩, ১৮৬, ৩৪২, ৪২৭, ৪৪৭ ও ৫০৬ ধারায় ইবি থানায় মামলা করেন। মামলার নম্বর-০৬। মামলার আসামীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অস্থায়ী চাকরীজীবী পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দার। এছাড়া আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান জানান, বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহŸায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষের পিএস উপ-রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ইবি থানার ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ^বিদ্যালয় থেকে মামলার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। পরে দুইজনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একসময় তারা অস্থায়ী চাকরীজীবী পরিষদ নামে সংগঠন তৈরি করে। পরে সংগঠনটির ব্যানারে বিশ^বিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরীর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে তারা। দাবি আদায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তার পিএস উপ-রেজিস্ট্রার আইয়ুব আলীর কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তারা তাদের চাকরি সম্পর্কিত ফাইলগুলোর ব্যাপারে জানতে চান। এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে পিএস বলেন তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না, এ ব্যাপারে উপাচার্য জানেন। এ নিয়ে তাদের সাথে পিএসের বাকবিতÐা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা চালায়। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে ও টেবিলে থাকা গুরুত্বপ‚র্ণ নথিপত্র ফেলে দেয় চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী আইয়ুব বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদন দেন।

 

বার্তা/এন

ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর, মামলা-তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যেও কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  গতকাল মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইবি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে দÐবিধির ১৪৩, ১৮৬, ৩৪২, ৪২৭, ৪৪৭ ও ৫০৬ ধারায় ইবি থানায় মামলা করেন। মামলার নম্বর-০৬। মামলার আসামীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অস্থায়ী চাকরীজীবী পরিষদের সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দার। এছাড়া আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান জানান, বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহŸায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আসাদুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষের পিএস উপ-রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ইবি থানার ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ^বিদ্যালয় থেকে মামলার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। পরে দুইজনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একসময় তারা অস্থায়ী চাকরীজীবী পরিষদ নামে সংগঠন তৈরি করে। পরে সংগঠনটির ব্যানারে বিশ^বিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরীর দাবিতে আন্দোলন শুরু করে তারা। দাবি আদায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সভাপতি টিটু মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তার পিএস উপ-রেজিস্ট্রার আইয়ুব আলীর কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তারা তাদের চাকরি সম্পর্কিত ফাইলগুলোর ব্যাপারে জানতে চান। এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে পিএস বলেন তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না, এ ব্যাপারে উপাচার্য জানেন। এ নিয়ে তাদের সাথে পিএসের বাকবিতÐা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা চালায়। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে ও টেবিলে থাকা গুরুত্বপ‚র্ণ নথিপত্র ফেলে দেয় চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী আইয়ুব বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদন দেন।

 

বার্তা/এন