মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর ও বসত ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ড্রেজার ব্যবসায়ী রিপনের বিরুদ্ধে। গত (২১সেপ্টেম্বর) বুধবার উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের সুফিগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তন্তর ইউনিয়নের সুফিগঞ্জ গ্রামের আবেদ আলী ঢালীর ছেলে মোঃ মামুন ঢালী সাথে ব্রাহ্মনখোলা গ্রামের কফিলউদ্দিন হাওলাদার এর মেয়ে মোসাঃমায়া বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর মামুন ঢালী দূর প্রবাসে পাড়ি দেন। প্রবাসের যাওয়ার কিছু দিন পর তাদের একটি পূত্র সন্তান হয়। বিয়ের ১০ বছর পর্যন্ত তাদের সংসার ঠিক ঠাক মতো চললেও দীর্ঘ ৩ বছর যাবত চলছে নানা সমস্যায়। যার কারন মোঃ মামুন ঢালীর দ্বিতীয় বিয়ে। যার জন্য কোন ভাবেই সহ্য করতে পারছেন না প্রথম স্ত্রী মায়াকে বন্ধ করে দেন স্ত্রী সন্তানের খরচের টাকা। এবং বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য পেছনে লেলিয়ে দেন তার পরিবারের লোকজন ও তার কয়েকজন বন্ধুকে। প্রতিনিয়তই তাদের হাতে নির্যাতিত হতো মামুনের স্ত্রী মায়া। স্বামীকে বলেও পেত না এর কোন সমাধান।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মোসাঃ মায়া বেগম বলেন, আজ থেকে ১৩ বছর পূর্বে আমাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ভালোই যাচ্ছিলো আমাদের সংসার জীবন।হঠাৎ করে লক্ষ্য করি আমার স্বামীর আচার ব্যবহার এর পরিবর্তন। স্বামীর এই পরিবর্তন দেখে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরেকটি বিয়ে করেছেন যার জন্য এখন আর আমাকে সহ্য করতে পারছেন না। বিভিন্ন ভাবে আমাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছেন বেশ কিছু দিন যাবত। তার কিছু দিন পর লক্ষ করি তার পরিবারের লোকজনের ও ব্যবহার দিন দিন খারাপ হচ্ছে আমার সাথে। হঠাৎ করে একদিন আমাদের পাশের বাড়ির আমার স্বামীর বন্ধু রিপন আসে আমার কাছে এসে বলে আপনাদের এই সমস্যাটা বসে সমাধান করা দরকার। একজন বিচারক চাইলে সব কিছুই করতে পারে। আমি আপনাকে যা বলি আমার কথা শুনেন আমি আপনার এই সমস্যা সমাধান করে দিবো। এক পর্যায় রিপন আমাকে কু-প্রস্তাব প্রদান করেন পরে আমি সাথে সাথে তাকে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলি সে চলে যায়। গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাবী (রিপনের বোনের মেয়ে) সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিপন ও তার ভাগিনী আমাকে এলোপাথাড়ি কিল,গুশি,লাথি মারেন।আমার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকজন আসলে আমাকে মারা বন্ধ করে আমার ঘরে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যায় এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার ১২ বছরের ছেলে তাকেও সাথে করে নিয়ে যায় রিপন।
এবিষয়ে মুঠোফোনে রিপনকে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি তিনি পুরোপুরি মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বার্তা/এন