শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রফি ভাঙার ঘটনায় ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

(ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। ফাইল ছবি

বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়েও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এসব ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিবের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বান্দরবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরইমধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, কমিটিগুলোর রিপোর্ট আশা করি আজকের মধ্যে পেয়ে যাবো। প্রত্যেক জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এসব ঘটনায় আপনারা বিব্রত কি না-জানতে চাইলে সচিব মো. আবুল হাছানাত বলেন, যেকোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার জন্য মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটা তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম।

খেলার সমাপনী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের সামনে পুরস্কারের ট্রফি দুটি ভেঙে ফেলেন তিনি। ট্রফি ভাঙার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ট্রফি ভাঙার ঘটনায় ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়েও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এসব ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিবের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বান্দরবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরইমধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, কমিটিগুলোর রিপোর্ট আশা করি আজকের মধ্যে পেয়ে যাবো। প্রত্যেক জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এসব ঘটনায় আপনারা বিব্রত কি না-জানতে চাইলে সচিব মো. আবুল হাছানাত বলেন, যেকোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার জন্য মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (মেহরুবা) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটা তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম।

খেলার সমাপনী বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষের সামনে পুরস্কারের ট্রফি দুটি ভেঙে ফেলেন তিনি। ট্রফি ভাঙার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।