বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন সরকার পতনের আন্দোলন ‘গুলি-টিয়ারগ্যাসে’ বন্ধ করা যাবে না ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই হুঁশিয়ারি দেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা এখন যে সকল দাবিতে আন্দোলন করছি, এগুলো বিএনপির দাবি বললে ভুল হবে। এসব জনগণের দাবি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানে প্রতিটা পরিবারের নাভিশ্বাস। আয়ের সঙ্গে তাদের ব্যয়ের কোনো রকমের সঙ্গতি নাই।
তিনি বলেন, উত্তরোত্তর ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার উত্তরোত্তর আয় হ্রাস পাচ্ছে। এই কষাঘাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতা কখনও ফ্যাসিবাদকে, কখনও স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি।পৃথিবীর পূর্বের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ইতিহাস তাই বলে। জনগণের মৌলিক সমস্যার সমাধান না করে শুধু টিয়ারগ্যাস-গুলি ইত্যাদি দিয়ে কখনও কোনো আন্দোলন ব্যর্থ করা যায়নি, এই আন্দোলনও বন্ধ করা যাবে না।
গয়েশ্বর বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে করবে। একটা সময় আসবে আন্দোলন জনগণ সফল করবে, শুধু আমরা সেখানে উপস্থিত থাকব। এই ব্যাপারে আমরা খুব আশাবাদী।
সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ সরকারের পদত্যাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির, আমরা দাবি করছি সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং একটা অরাজনৈতিক নির্দলীয় সরকারের অধীনের একটি নির্বাচন। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আমাদের ৫ জন শহীদ হয়েছেন। আজকে এই আন্দোলনের সঙ্গে শহীদের রক্ত জড়িত। সুতরাং একদিকে আন্দোলন এবং অন্যদিকে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের একটা প্রতিশ্রুতি আমাদের সকলের থাকবে।
বেলা সাড়ে ১১টায় জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুল্লাহ ইকবালের নেতৃত্বে, নেতাকর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ সময়ে জিয়া মঞ্চের সহসভাপতি আবু তালেব, মহানগর উত্তরের শাহাদাত হোসেন পলাশ, আনিসুল ইসলাম সায়েম, দক্ষিণের আবদুল হামিদ মামুন ও রেজওয়ান মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।