শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিংগাইরে ৭ দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সম্প্রতি এক রাতে ৫ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ সদস্যরা। মামলা দায়ের– ১ সপ্তাহের মধ্যেই ক্লুলেস ডাকাতি মামলার সাথে সম্পৃক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো- সিংগাইর থানাধীন খোয়ামুরি(টেকপাড়া) গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীম (৩০), চান্দহর ইউনিয়নের সোনাটেংরা গ্রামের মোঃ আদম আলীর ছেলে মোঃ মোশারফ মোল্লা ওরফে মোসা (২৭), ওয়াইজনগর গ্রামের মৃত সাদেক খাঁর ছেলে মোঃ কুদ্দুস খা (৫০), বকচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ তমেজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল দেওয়ান (২৮), ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার ছলিমগঞ্জ(বাড়াইল মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত ইদন মিয়ার ছেলে মোঃ মোমেন মিয়া (২৮), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সাংগুর গ্রামের মৃত আজাহার সরদারের ছেলে মোঃ মিরাজ সরদার (৩৬), সাভার থানাধীন ওয়াইজনগর(চকবাড়ি) এলাকার মেজবান ওরফে পর্বতের ছেলে মোঃ আরমান (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও বিশ্বস্ত সোর্স এর মাধ্যমে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় । বিজ্ঞ আদালতে তার দেয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে সিংগাইর, সাভার থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, সিংগাইর সার্কেল(অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইমতিয়াজ মাহবুবের দিক নির্দেশনায়, সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যার সার্বিক সহযোগীতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোহর আলী, এসআই মোঃ রকিবুল ইসলাম, এসআই শেখ তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ অভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে মামলা রুজুর ১ সপ্তাহের মধ্যেই এই ক্লুলেস ডাকাতি মামলার সাথে সম্পৃক্ত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীম(৩০)-কে গ্রেপ্তার করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে শামীম ঘটনার সাথে জড়িত স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দেয় এবং তার সহযোগী ৮ জন ডাকাতের নাম প্রকাশ করে। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া সহ সিংগাইর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যসহ আরো ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ সদস্যের ডাকাতদল সিংগাইর থানাধীন গোবিন্দল উত্তরপাড়া (সরকার মহল্লা) গ্রামে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে এক রাতে ৫ বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুন্ঠন করে। উক্ত ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন ডাকাতকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত ইসমাইল দেওয়ান ব্যতিত সকল ডাকাতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে।
বার্তা/এন

সিংগাইরে ৭ দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সম্প্রতি এক রাতে ৫ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ সদস্যরা। মামলা দায়ের– ১ সপ্তাহের মধ্যেই ক্লুলেস ডাকাতি মামলার সাথে সম্পৃক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো- সিংগাইর থানাধীন খোয়ামুরি(টেকপাড়া) গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীম (৩০), চান্দহর ইউনিয়নের সোনাটেংরা গ্রামের মোঃ আদম আলীর ছেলে মোঃ মোশারফ মোল্লা ওরফে মোসা (২৭), ওয়াইজনগর গ্রামের মৃত সাদেক খাঁর ছেলে মোঃ কুদ্দুস খা (৫০), বকচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ তমেজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল দেওয়ান (২৮), ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার ছলিমগঞ্জ(বাড়াইল মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত ইদন মিয়ার ছেলে মোঃ মোমেন মিয়া (২৮), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সাংগুর গ্রামের মৃত আজাহার সরদারের ছেলে মোঃ মিরাজ সরদার (৩৬), সাভার থানাধীন ওয়াইজনগর(চকবাড়ি) এলাকার মেজবান ওরফে পর্বতের ছেলে মোঃ আরমান (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ক্লু-লেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও বিশ্বস্ত সোর্স এর মাধ্যমে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয় । বিজ্ঞ আদালতে তার দেয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে সিংগাইর, সাভার থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, সিংগাইর সার্কেল(অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইমতিয়াজ মাহবুবের দিক নির্দেশনায়, সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম মোল্যার সার্বিক সহযোগীতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনোহর আলী, এসআই মোঃ রকিবুল ইসলাম, এসআই শেখ তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ অভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে মামলা রুজুর ১ সপ্তাহের মধ্যেই এই ক্লুলেস ডাকাতি মামলার সাথে সম্পৃক্ত আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মহিদুর ওরফে শামীম(৩০)-কে গ্রেপ্তার করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে শামীম ঘটনার সাথে জড়িত স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দেয় এবং তার সহযোগী ৮ জন ডাকাতের নাম প্রকাশ করে। তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া সহ সিংগাইর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যসহ আরো ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ সদস্যের ডাকাতদল সিংগাইর থানাধীন গোবিন্দল উত্তরপাড়া (সরকার মহল্লা) গ্রামে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে এক রাতে ৫ বাড়িতে ডাকাতি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুন্ঠন করে। উক্ত ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন ডাকাতকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত ইসমাইল দেওয়ান ব্যতিত সকল ডাকাতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে।
বার্তা/এন