শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুকুরে মিলল বিলুপ্ত প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপ, বনে অবমুক্ত 

বাগেরহাটের শরণখোলায় ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি সুন্ধি কচ্ছপ। পরে বনবিভাগের মাধ্যমে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে কচ্ছপটি। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন মধ্য সোনাতলা গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের পুকুরে পাওয়া যায় কচ্ছপটি।

শুক্রবার  (৩০ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮ টার দিকে গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম তার পুকুরে কচ্ছপটি দেখতে পান। তিনি কচ্ছপটি ধরে স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের জানান। পরে সিপিজির টিম লিডার মোঃ খলিলুর রহমান জোমাদ্দার  ওই বাড়ি থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বনপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সুন্ধি কচ্ছপ দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকতে পারে। শরীরে রোদের তাপ না লাগলে এর খাওয়ারও তেমন প্রয়োজন হয়না। সম্ভবত এটি মাটির নিচ থেকে বের হয়েছে অথবা কেউ খাওয়ার জন্য আনলে সেখান থেকে ছুটে এসে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ কচ্ছপ সাধারণত মাঝেমধ্যে মিষ্টি পানির এলাকায় দেখা যায়। মিষ্টি পানির জলাশয় ও ধান ক্ষেতে মাঝে মধ্যে এর অস্তিত্ব মিলে থাকে। মানুষের খাওয়ার কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ প্রজাতি এখন বিলুপ্ত প্রায়।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন , উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি দুপুর ১২টার দিকে রেঞ্জ অফিসের কাছে বনের জলাশয়ে ছাড়া হয়েছে কচ্ছপটির বয়স ৩ বছর ওজন ১ কেজি।

বার্তা/এন

পুকুরে মিলল বিলুপ্ত প্রজাতির সুন্ধি কচ্ছপ, বনে অবমুক্ত 

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের শরণখোলায় ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি সুন্ধি কচ্ছপ। পরে বনবিভাগের মাধ্যমে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে কচ্ছপটি। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন মধ্য সোনাতলা গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের পুকুরে পাওয়া যায় কচ্ছপটি।

শুক্রবার  (৩০ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮ টার দিকে গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম তার পুকুরে কচ্ছপটি দেখতে পান। তিনি কচ্ছপটি ধরে স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের জানান। পরে সিপিজির টিম লিডার মোঃ খলিলুর রহমান জোমাদ্দার  ওই বাড়ি থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বনপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, সুন্ধি কচ্ছপ দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকতে পারে। শরীরে রোদের তাপ না লাগলে এর খাওয়ারও তেমন প্রয়োজন হয়না। সম্ভবত এটি মাটির নিচ থেকে বের হয়েছে অথবা কেউ খাওয়ার জন্য আনলে সেখান থেকে ছুটে এসে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ কচ্ছপ সাধারণত মাঝেমধ্যে মিষ্টি পানির এলাকায় দেখা যায়। মিষ্টি পানির জলাশয় ও ধান ক্ষেতে মাঝে মধ্যে এর অস্তিত্ব মিলে থাকে। মানুষের খাওয়ার কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ প্রজাতি এখন বিলুপ্ত প্রায়।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন , উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি দুপুর ১২টার দিকে রেঞ্জ অফিসের কাছে বনের জলাশয়ে ছাড়া হয়েছে কচ্ছপটির বয়স ৩ বছর ওজন ১ কেজি।

বার্তা/এন