শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝোপঝাড়ে পূর্ণ ইবি, বেড়েছে সাপের উপদ্রব

নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে ঝোপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। ঘন ঝোপঝাড়ে ভর্তি এসব জায়গা যেন পরিণত হয়েছে সাপেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। ফলে ক্যাম্পাসে প্রায়শই দেখা মেলে নানা ধরনের বিষাক্ত সাপের। দীর্ঘদিন ধরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় ঘটছে এমন ঘটনা। ফলে যেকোনো মুহ‚র্তে ঘটতে পারে কোনো দুর্ঘটনা। বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণও হারাতে পারেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়তই এই বিপদের আশঙ্কার সাথে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এর কারণ হিসেবে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ভরে আছে নানা ঝোপঝড়ে। কোনো কোনো স্থান হয়ে পড়েছে দুর্গম।  বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠের চারপাশে, বিভিন্ন হলের আশপাশ, বিশ্ববিদ্যালয় লেক এলাকাসহ অনেক জায়গা পূর্ণ হয়ে গেছে ঝোপঝাড়ে। এসব জায়গায় অনেক সময় নানা ধরনের বিষাক্ত সাপের দেখা মেলে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠ এলাকায় শিক্ষার্থীদের সমাগম একটু বেশি। দিনের বেলা প্রায় পুরোটা সময় শিক্ষার্থীরা এখানে খেলাধুলা, আড্ডাসহ বিভিন্ন বিনোদনম‚লক কাজের মাধ্যমে সময় কাটান। এছাড়া সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাপরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল হয়ে ওঠে ক্রিকেট মাঠ। এসময় তারা এখানে বসে আড্ডা দেয়। কিন্তু মাঠের চারপাশ জঙ্গলাকীর্ণ থাকায় সেসব স্থান থেকে বিভিন্ন সময় বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে পড়তে দেখা যায় বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক সময় হলের আশেপাশের ঝোপঝাড় থেকে শিক্ষার্থীদের কক্ষেও ঢুকে পড়ে এসব সাপ। গত ২৩ আগস্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বাথরুমে একটি সাপ দেখতে পেয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে ঐ হলের এক শিক্ষার্থী। গত ৪ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নতুন বøকের ৫ তলার একটি বাথরুমের বিভিন্ন কর্নার থেকে একটু পর পরই সাপের বাচ্চা বের হচ্ছিল বলে জানা যায়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তিনটি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলে। এছাড়াও বিভিন্ন হলে প্রায় সময়ই সাপ বের হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়ছে সাপ আতঙ্ক। বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়েই হলে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় সময়ই নানা বিষাক্ত সাপ দেখা যায়। অনেক সময় হলের রুমেও এসব সাপ ঢুকে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঝোপঝাড় থাকায় সাপেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। অবিলম্বে এসব ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা উচিত। নতুবা বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যায়।

লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠের চারিদিকে ঘন ঝোপঝাড় রয়েছে। এসব জায়গা থেকে প্রায়ই নানা বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসে। আমরা সন্ধ্যা ও রাতে ক্রিকেট মাঠে বসে আড্ডা দেই। এসময় সাপের কামড়ে প্রাণহানির আশঙ্কায় থাকি সবসময়। শীঘ্রই কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের ঝোপঝাড় পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রের অভাবে বিষয়টি একটু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমাদের মাত্র তিনটি মেশিন ও তিনজন লোক রয়েছে। এসব ভারী ও বিপজ্জনক মেশিন একজনের পক্ষে বহন ও পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য। আমরা আমাদের সাধ্যমতো যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বার্তা/এন

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ঝোপঝাড়ে পূর্ণ ইবি, বেড়েছে সাপের উপদ্রব

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে ঝোপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। ঘন ঝোপঝাড়ে ভর্তি এসব জায়গা যেন পরিণত হয়েছে সাপেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। ফলে ক্যাম্পাসে প্রায়শই দেখা মেলে নানা ধরনের বিষাক্ত সাপের। দীর্ঘদিন ধরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় ঘটছে এমন ঘটনা। ফলে যেকোনো মুহ‚র্তে ঘটতে পারে কোনো দুর্ঘটনা। বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণও হারাতে পারেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়তই এই বিপদের আশঙ্কার সাথে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এর কারণ হিসেবে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ভরে আছে নানা ঝোপঝড়ে। কোনো কোনো স্থান হয়ে পড়েছে দুর্গম।  বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠের চারপাশে, বিভিন্ন হলের আশপাশ, বিশ্ববিদ্যালয় লেক এলাকাসহ অনেক জায়গা পূর্ণ হয়ে গেছে ঝোপঝাড়ে। এসব জায়গায় অনেক সময় নানা ধরনের বিষাক্ত সাপের দেখা মেলে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠ এলাকায় শিক্ষার্থীদের সমাগম একটু বেশি। দিনের বেলা প্রায় পুরোটা সময় শিক্ষার্থীরা এখানে খেলাধুলা, আড্ডাসহ বিভিন্ন বিনোদনম‚লক কাজের মাধ্যমে সময় কাটান। এছাড়া সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাপরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মিলনস্থল হয়ে ওঠে ক্রিকেট মাঠ। এসময় তারা এখানে বসে আড্ডা দেয়। কিন্তু মাঠের চারপাশ জঙ্গলাকীর্ণ থাকায় সেসব স্থান থেকে বিভিন্ন সময় বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে পড়তে দেখা যায় বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক সময় হলের আশেপাশের ঝোপঝাড় থেকে শিক্ষার্থীদের কক্ষেও ঢুকে পড়ে এসব সাপ। গত ২৩ আগস্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বাথরুমে একটি সাপ দেখতে পেয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে ঐ হলের এক শিক্ষার্থী। গত ৪ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে নতুন বøকের ৫ তলার একটি বাথরুমের বিভিন্ন কর্নার থেকে একটু পর পরই সাপের বাচ্চা বের হচ্ছিল বলে জানা যায়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তিনটি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলে। এছাড়াও বিভিন্ন হলে প্রায় সময়ই সাপ বের হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়ছে সাপ আতঙ্ক। বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়েই হলে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, ক্যাম্পাসে প্রায় সময়ই নানা বিষাক্ত সাপ দেখা যায়। অনেক সময় হলের রুমেও এসব সাপ ঢুকে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘন ঝোপঝাড় থাকায় সাপেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। অবিলম্বে এসব ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা উচিত। নতুবা বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই যায়।

লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠের চারিদিকে ঘন ঝোপঝাড় রয়েছে। এসব জায়গা থেকে প্রায়ই নানা বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসে। আমরা সন্ধ্যা ও রাতে ক্রিকেট মাঠে বসে আড্ডা দেই। এসময় সাপের কামড়ে প্রাণহানির আশঙ্কায় থাকি সবসময়। শীঘ্রই কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের ঝোপঝাড় পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যাপ্ত লোকবল ও যন্ত্রের অভাবে বিষয়টি একটু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমাদের মাত্র তিনটি মেশিন ও তিনজন লোক রয়েছে। এসব ভারী ও বিপজ্জনক মেশিন একজনের পক্ষে বহন ও পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য। আমরা আমাদের সাধ্যমতো যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বার্তা/এন