বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সেবার মান নেই, শুধু নামেই আধুনিক হাসপাতাল

বর্তমানে দেশে অনেক সরকারি হাসপাতাল আছে।এ সব হাসপাতাল গুলোতে সেবার মান কতটুকু সঠিক ভাবে পাচ্ছে রোগীরা জানিনা। তবে শনিবার রাতে ও (২ অক্টোবর) রবিবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে সরেজমিনে তথ্য মেলে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল শুধু নামেই আধুনিক আর চিকিৎসার মান অত্যন্ত নাজুক। কেনো এমন হবে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি অনেক ভুক্তভোগী রোগীদের অভিভাবক ও স্বজনরা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা টাকাও নেবে আবার সুচিকিৎসাও দেবে না এটাই বা কেমন নিয়ম,আর তারা অভিযোগ করে বলেন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে সঠিক ভাবে নিয়ম মানছে না বা কতটুকুই মানছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশনের(বিএমএ) নীতিমালা।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে দালালরাই বা কেনো সম্পূর্ণ রূপে নির্মূলন হচ্ছে না কেনো, এই হাসপাতালের দালালরাই বা কাদের ছত্রছায়ায় থেকে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এমনও দেখা যায় বিশেষ করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে কোন মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে তখন ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অনুসন্ধান করলে সেখানেও পাওয়া যায় না ঠিকই ভাবে সেবা দালালদের কারনে, তবে দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময় আবার নেশা আশক্তদের দূষিত ব্লাড ঠিকই মেলে। হাসপাতালের খাবার ব্যবস্থা আরও নাজুক, প্রতিদিনের খাবারের রুটিন অনুযায়ী মিলছেনা চাহিদা অনুযায়ী ভালো খাবার। খাবারের তালিকায় যে সব খাবারের নাম রয়েছে তার অর্ধেক ও মিলছেনা রোগীদের ভাগ্যে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের খাবার নিয়ে ও চলছে সিন্ডিকেট।
এসব দূষিত রক্ত বা ব্লাড রোগীদের শরিরে প্রবেশ করানো হলে পরবর্তীতে রোগীদের শরিরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ারও তথ্য মেলে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে এমন ঘটনা শুধুই নয়। নেত্রকোনা জেলা শহরের বাহিরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও এমন অবস্থা দেখা যায়। শুধু তাই নয় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের আধুনিক চিকিৎসার জন্য সবধরনের মেশিনারিজও(যন্ত্রাংশ) অকেজো,আবার এমনও তথ্য মেলে সে মুহুত্বে অন্য ক্লিনিক বা হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের দেয়া রোগীর জন্য পরিক্ষার প্রতিবেদন করে আনতে হয় রোগীর স্বজনদের। এমন ও দেখা যায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি অবস্থায় কোন রোগীর যদি ইমারজেন্সি কোন সমস্যা হলে ডাক্তারকে ডাকতে ডাকতে হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর স্বজনদের।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও চিকিৎসার যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য সরকারি বাজেটে বরাদ্দ হলেও তা যেনো লুটপাটে পরিনত হয়।স্বাস্থ্য বিভাগ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়,স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য মন্ত্রী,বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশন এতো বিভাগ থাকতেও চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের দেশে কেনো এমন হবে। অনেক ভুক্তভোগীরা জানান, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে তো একটা মানুষ অসহায় হয়েই যায়,আর টাকা দিয়েই চিকিৎসা নেয় তারপরও কেনো সু-চিকিৎসা ব্যবস্থা পাচ্ছে না এটা কেনো। এটা কি কোন স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষের প্রাপ্য, আর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল কেনো দালালদের কবলে থাকবে। টাকা না হলে হাসপাতালে সিট পাওয়া যাবেনা,ভালো চিকিৎসাও মেলবে না এটা কেমন কথা। তাহলে গরীব অসহায়রা টাকাও দেবে আবার সুচিকিৎসা না পেয়ে ধুকে ধুকে মারা যাবে এটাই কি কাম্য। একটা দেশের মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা।
এদিকে সমাজে অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের জন্য নেত্রকোনায় আধুনিক সদর হাসপাতাল থাকলেও সে হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা নিয়ে দূর্নীতিতে নেত্রকোনায় শীর্ষে অবস্থান করছে, এটা কেমন কথা, জানা যায় রাজধানীতে ধনী শ্রেনিদের জন্য গড়ে উঠেছে স্কয়ার হাসপাতাল,শামরিতা হাসপাতাল, এ্যাপলো, এভার কেয়ার হাসপাতালসহ নামিদামি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেখানেও চলে রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নেয়ার খেলা।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে যে সকল সনামধন্য ডাক্তারদের নাম লেখা আছে তারাও ঠিক ভাবে আসেনও না। এমনকি হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে ডাক্তারদের ভিজিটও তুলনা মুলক অনেক বেশি যা মধ্য বিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য অতি কষ্টসাধ্য।
এবার একটু ঘুরে দেখা যায়, ওষুধ বানিজ্য,এ যেনো অন্য জগৎ, হাসপাতালে রোগী দেখানোর পর হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রোগী নিয়ে বের হলেই হুমড়ি খেয়ে বসে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিরা এবং রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশনে তাদের কোম্পানির ওষুধ চিকিৎসক লিখেছেন কিনা তার ছবি তোলার জন্য। এছাড়া হাসপাতালের সামনে দেখা যায় কিছু ফার্মাসি যেখানে বিক্রি হয় ডাক্তারে প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ চড়া দামে তখন রোগী স্বজনেরা বাধ্য হয়ে সে সব ওষুধ কিনতে বাধ্য হন।
এ সকল বিষয় গুলো হাসপাতাল কতৃপক্ষের বেহাল্লাপান ও দালালদের দৌরাত্ম বিরুদ্ধে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তারাই বা কেনো তাদের প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বার নিয়ে ব্যস্থ থাকবেন আর মোটা অংকের টাকা আয়ের জন্য একজন রোগীকে তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসার পরামর্শ দেবেন,ধরা যাক এধরনে অসাধু চিকিৎসকদের কাছে যদি রুগী তাদের হাতে ব্যাথার জন্য গেলে তারা মনে করেন কমিশনের আশায় ৮/১০ টা টেস্টই দেয় এবং প্রেসক্রিপশনে আবার সংকেতও দিয়ে দেন এধরনে অসাধু চিকিৎসকরা কারন ঐ ল্যাব থেকে যে প্রতিমাসে মোটা অংকের কমিশনে জন্য।
সাধারন মানুষের একটাই আশা মানুষ অসহায় হয়ে শেষ ভরসায় যখন কোন হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে স্বরনাপন্ন হয় তখন চিকিৎসকরা বা হাসপাতাল কতৃপক্ষ কেনো এমন সুযোগটা নিয়ে রোগীর ওপর নিরবে নির্যাতন করবেন তা শিক্ষিত সমাজের বধগম্য নয়। নেত্রকোনায় এমনও তথ্য মেলে চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারনে অনেক রোগীরকে মৃত্যু কোলেও ঢুলে পড়তে হয় এটাই বা কেনো হবে।
এছাড়া নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে কোন রোগী চিকিৎসাধীন থাকাবস্থা তার মৃত্যু হলে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাহিরে বের করতে হলেও (ডের্থ সার্টিফিকেটের জন্য) টাকা দিতে হয় বলে জানা যায়। তাহলে কি বাংলাদেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা কি অনুন্নত।এছাড়া দেখা যায় নেত্রকোনায় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাদের শারিরীক কোন সমস্যা হলেই তাঁরা আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে যে চিকিৎসা নেন, তাহলে কি তারা আমাদের দেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসার ভালো না বা এদেশের চিকিৎসকদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন না বলেই সেই সব রাষ্ট্রে যেয়ে চিকিৎসা নেন আর তারাই যদি দেশে চিকিৎসক দের সেবা ওপর ভরসা না রাখতে পারেন তাহলে সাধারন মানুষ কি করবে। বর্তমান করোনা সংক্রামণ একটা জাতীয় সমস্যা আর এদিকে কোন রোগী যদি করোনায় আক্রান্ত নাও হয় অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাদেরকেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেই সাথে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে সঠিকভাবে চিকিৎসার পাচ্ছেনা রোগীরা পাচ্ছেনা বেড ও,স্থান হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় আবার হাসপাতালে দালালদের টাকা দিলে সেবা মেলে রোগীদের। এই অভিযোগেরও তথ্য মেলে। সাধারন মানুষের একটা জোরালো দাবি এ ধরনে চিকিৎসা সেবা দূর্নীতি থেকে অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে হবে নেত্রকোনার সাধারণ মানুষের। চিকিৎসা একটা সমাজের সেবা মুলক পেশা আর এটাকে ভিত্তি করে যেনো কোন অসাধু চিকিৎসক নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়ে লুটতে না পারে।
সরকার ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশ কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। দোষীদের চিহ্নত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেখতে চায় নেত্রকোনার বর্তমান বিবেকবান সমাজ।
বার্তা/এন

সেবার মান নেই, শুধু নামেই আধুনিক হাসপাতাল

প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
বর্তমানে দেশে অনেক সরকারি হাসপাতাল আছে।এ সব হাসপাতাল গুলোতে সেবার মান কতটুকু সঠিক ভাবে পাচ্ছে রোগীরা জানিনা। তবে শনিবার রাতে ও (২ অক্টোবর) রবিবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে সরেজমিনে তথ্য মেলে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল শুধু নামেই আধুনিক আর চিকিৎসার মান অত্যন্ত নাজুক। কেনো এমন হবে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি অনেক ভুক্তভোগী রোগীদের অভিভাবক ও স্বজনরা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা টাকাও নেবে আবার সুচিকিৎসাও দেবে না এটাই বা কেমন নিয়ম,আর তারা অভিযোগ করে বলেন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে সঠিক ভাবে নিয়ম মানছে না বা কতটুকুই মানছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশনের(বিএমএ) নীতিমালা।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে দালালরাই বা কেনো সম্পূর্ণ রূপে নির্মূলন হচ্ছে না কেনো, এই হাসপাতালের দালালরাই বা কাদের ছত্রছায়ায় থেকে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এমনও দেখা যায় বিশেষ করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে কোন মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে তখন ব্লাড ব্যাংকে রক্তের অনুসন্ধান করলে সেখানেও পাওয়া যায় না ঠিকই ভাবে সেবা দালালদের কারনে, তবে দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময় আবার নেশা আশক্তদের দূষিত ব্লাড ঠিকই মেলে। হাসপাতালের খাবার ব্যবস্থা আরও নাজুক, প্রতিদিনের খাবারের রুটিন অনুযায়ী মিলছেনা চাহিদা অনুযায়ী ভালো খাবার। খাবারের তালিকায় যে সব খাবারের নাম রয়েছে তার অর্ধেক ও মিলছেনা রোগীদের ভাগ্যে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের খাবার নিয়ে ও চলছে সিন্ডিকেট।
এসব দূষিত রক্ত বা ব্লাড রোগীদের শরিরে প্রবেশ করানো হলে পরবর্তীতে রোগীদের শরিরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ারও তথ্য মেলে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে এমন ঘটনা শুধুই নয়। নেত্রকোনা জেলা শহরের বাহিরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও এমন অবস্থা দেখা যায়। শুধু তাই নয় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের আধুনিক চিকিৎসার জন্য সবধরনের মেশিনারিজও(যন্ত্রাংশ) অকেজো,আবার এমনও তথ্য মেলে সে মুহুত্বে অন্য ক্লিনিক বা হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের দেয়া রোগীর জন্য পরিক্ষার প্রতিবেদন করে আনতে হয় রোগীর স্বজনদের। এমন ও দেখা যায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি অবস্থায় কোন রোগীর যদি ইমারজেন্সি কোন সমস্যা হলে ডাক্তারকে ডাকতে ডাকতে হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর স্বজনদের।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও চিকিৎসার যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য সরকারি বাজেটে বরাদ্দ হলেও তা যেনো লুটপাটে পরিনত হয়।স্বাস্থ্য বিভাগ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়,স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য মন্ত্রী,বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশন এতো বিভাগ থাকতেও চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের দেশে কেনো এমন হবে। অনেক ভুক্তভোগীরা জানান, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে তো একটা মানুষ অসহায় হয়েই যায়,আর টাকা দিয়েই চিকিৎসা নেয় তারপরও কেনো সু-চিকিৎসা ব্যবস্থা পাচ্ছে না এটা কেনো। এটা কি কোন স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষের প্রাপ্য, আর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল কেনো দালালদের কবলে থাকবে। টাকা না হলে হাসপাতালে সিট পাওয়া যাবেনা,ভালো চিকিৎসাও মেলবে না এটা কেমন কথা। তাহলে গরীব অসহায়রা টাকাও দেবে আবার সুচিকিৎসা না পেয়ে ধুকে ধুকে মারা যাবে এটাই কি কাম্য। একটা দেশের মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা।
এদিকে সমাজে অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের জন্য নেত্রকোনায় আধুনিক সদর হাসপাতাল থাকলেও সে হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা নিয়ে দূর্নীতিতে নেত্রকোনায় শীর্ষে অবস্থান করছে, এটা কেমন কথা, জানা যায় রাজধানীতে ধনী শ্রেনিদের জন্য গড়ে উঠেছে স্কয়ার হাসপাতাল,শামরিতা হাসপাতাল, এ্যাপলো, এভার কেয়ার হাসপাতালসহ নামিদামি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক সেখানেও চলে রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে মোটা অংকের টাকার হাতিয়ে নেয়ার খেলা।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে যে সকল সনামধন্য ডাক্তারদের নাম লেখা আছে তারাও ঠিক ভাবে আসেনও না। এমনকি হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে ডাক্তারদের ভিজিটও তুলনা মুলক অনেক বেশি যা মধ্য বিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য অতি কষ্টসাধ্য।
এবার একটু ঘুরে দেখা যায়, ওষুধ বানিজ্য,এ যেনো অন্য জগৎ, হাসপাতালে রোগী দেখানোর পর হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রোগী নিয়ে বের হলেই হুমড়ি খেয়ে বসে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিরা এবং রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশনে তাদের কোম্পানির ওষুধ চিকিৎসক লিখেছেন কিনা তার ছবি তোলার জন্য। এছাড়া হাসপাতালের সামনে দেখা যায় কিছু ফার্মাসি যেখানে বিক্রি হয় ডাক্তারে প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ চড়া দামে তখন রোগী স্বজনেরা বাধ্য হয়ে সে সব ওষুধ কিনতে বাধ্য হন।
এ সকল বিষয় গুলো হাসপাতাল কতৃপক্ষের বেহাল্লাপান ও দালালদের দৌরাত্ম বিরুদ্ধে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তারাই বা কেনো তাদের প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বার নিয়ে ব্যস্থ থাকবেন আর মোটা অংকের টাকা আয়ের জন্য একজন রোগীকে তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসার পরামর্শ দেবেন,ধরা যাক এধরনে অসাধু চিকিৎসকদের কাছে যদি রুগী তাদের হাতে ব্যাথার জন্য গেলে তারা মনে করেন কমিশনের আশায় ৮/১০ টা টেস্টই দেয় এবং প্রেসক্রিপশনে আবার সংকেতও দিয়ে দেন এধরনে অসাধু চিকিৎসকরা কারন ঐ ল্যাব থেকে যে প্রতিমাসে মোটা অংকের কমিশনে জন্য।
সাধারন মানুষের একটাই আশা মানুষ অসহায় হয়ে শেষ ভরসায় যখন কোন হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে স্বরনাপন্ন হয় তখন চিকিৎসকরা বা হাসপাতাল কতৃপক্ষ কেনো এমন সুযোগটা নিয়ে রোগীর ওপর নিরবে নির্যাতন করবেন তা শিক্ষিত সমাজের বধগম্য নয়। নেত্রকোনায় এমনও তথ্য মেলে চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারনে অনেক রোগীরকে মৃত্যু কোলেও ঢুলে পড়তে হয় এটাই বা কেনো হবে।
এছাড়া নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে কোন রোগী চিকিৎসাধীন থাকাবস্থা তার মৃত্যু হলে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাহিরে বের করতে হলেও (ডের্থ সার্টিফিকেটের জন্য) টাকা দিতে হয় বলে জানা যায়। তাহলে কি বাংলাদেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা কি অনুন্নত।এছাড়া দেখা যায় নেত্রকোনায় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাদের শারিরীক কোন সমস্যা হলেই তাঁরা আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে যে চিকিৎসা নেন, তাহলে কি তারা আমাদের দেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসার ভালো না বা এদেশের চিকিৎসকদের ওপর ভরসা রাখতে পারেন না বলেই সেই সব রাষ্ট্রে যেয়ে চিকিৎসা নেন আর তারাই যদি দেশে চিকিৎসক দের সেবা ওপর ভরসা না রাখতে পারেন তাহলে সাধারন মানুষ কি করবে। বর্তমান করোনা সংক্রামণ একটা জাতীয় সমস্যা আর এদিকে কোন রোগী যদি করোনায় আক্রান্ত নাও হয় অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাদেরকেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেই সাথে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে সঠিকভাবে চিকিৎসার পাচ্ছেনা রোগীরা পাচ্ছেনা বেড ও,স্থান হচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় আবার হাসপাতালে দালালদের টাকা দিলে সেবা মেলে রোগীদের। এই অভিযোগেরও তথ্য মেলে। সাধারন মানুষের একটা জোরালো দাবি এ ধরনে চিকিৎসা সেবা দূর্নীতি থেকে অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে হবে নেত্রকোনার সাধারণ মানুষের। চিকিৎসা একটা সমাজের সেবা মুলক পেশা আর এটাকে ভিত্তি করে যেনো কোন অসাধু চিকিৎসক নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগীদের অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়ে লুটতে না পারে।
সরকার ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোশিয়েশ কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। দোষীদের চিহ্নত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেখতে চায় নেত্রকোনার বর্তমান বিবেকবান সমাজ।
বার্তা/এন