শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এসএসসি ফরম ফিলাপ: মামলার পর টাকা ফেরত দিচ্ছেন সেই প্রধান শিক্ষক 

জামালপুরে বকশীগঞ্জে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর মামলার পরই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত দিচ্ছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। মামলাটি দায়ের করেছেন লাউচাপড়া এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে আক্কাছ আলী। তিনি ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী রেখা মনির বাবা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে পুরো বকশীগঞ্জ জুড়ে।
মামলার বাদী আক্কাছ আলী জানান- ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য ৬২ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৯ জন এবং মানবিক বিভাগে ৪৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৫শ টাকা ও মানবিক বিভাগের জন্য দুই হাজার ৩শ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারীর কারনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষা না হওয়ার কারনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ফরম পূরণের ২৪ হাজার ২৪০ টাকা ফেরত পাঠায় ময়মনিসংহ শিক্ষা বোর্ড।
আক্কাছ আলী আরো জানান- ফেরত পাঠানো টাকা ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করার কথা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে তা বিতরণ করেন নি প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের আশায় ২৯ সেপ্টেমবর দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আক্কাছ আলী বলেন- “অনেকদিন আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছি শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম কোনও কথাই শোনেননি। টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহনা করতে থাকেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি।”
টাকা ফেরত পাওয়া হেলেনা আক্তার বলেন-“ হঠাৎ করে স্কুলের স্টাফরা আমাদের স্কুলে আসতে বলে। এরপর রোববার দিন কয়েকজনকে টাকা দেয়।”
টাকা ফেরত পাওয়া রাকিবুল ইসলাম বলেন-“ আমরা অনেক দিন ঘুরাঘুরির পর রোববার টাকা ফেরত পায়। কয়েকজন পেয়েছি। অধিকাংশই বাকি আছে।”
এ ব্যাপারে লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বলেন- “বকশীগঞ্জ উপজেলার সকল স্কুলের টাকা ফেরত দেওয়া হলেও ব্যাতিক্রম শুধু লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষক কি কারনে টাকা ফেরত দেননি তিনিই ভালো জানেন। টাকা ফেরত দিলেতো মামলা হতো না।”
এবিষয়ে লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন- “চলতি বছরের জুন মাসে টাকা ফেরত আসে। ব্যস্ততার জন্য টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হয়নি। এখন ধীরে ধীরে টাকা ফেরত দিচ্ছি।”
বকশীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছরুয়ার আলম বলেন-“এই বিষয়ে আমি এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। লোক মুখে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”
বার্তা/এন

এসএসসি ফরম ফিলাপ: মামলার পর টাকা ফেরত দিচ্ছেন সেই প্রধান শিক্ষক 

প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
জামালপুরে বকশীগঞ্জে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর মামলার পরই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা ফেরত দিচ্ছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। মামলাটি দায়ের করেছেন লাউচাপড়া এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে আক্কাছ আলী। তিনি ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী রেখা মনির বাবা। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে পুরো বকশীগঞ্জ জুড়ে।
মামলার বাদী আক্কাছ আলী জানান- ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য ৬২ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৯ জন এবং মানবিক বিভাগে ৪৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৫শ টাকা ও মানবিক বিভাগের জন্য দুই হাজার ৩শ টাকা করে নেয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারীর কারনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষা না হওয়ার কারনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ফরম পূরণের ২৪ হাজার ২৪০ টাকা ফেরত পাঠায় ময়মনিসংহ শিক্ষা বোর্ড।
আক্কাছ আলী আরো জানান- ফেরত পাঠানো টাকা ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করার কথা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে তা বিতরণ করেন নি প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের আশায় ২৯ সেপ্টেমবর দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আক্কাছ আলী বলেন- “অনেকদিন আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছি শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম কোনও কথাই শোনেননি। টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহনা করতে থাকেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছি।”
টাকা ফেরত পাওয়া হেলেনা আক্তার বলেন-“ হঠাৎ করে স্কুলের স্টাফরা আমাদের স্কুলে আসতে বলে। এরপর রোববার দিন কয়েকজনকে টাকা দেয়।”
টাকা ফেরত পাওয়া রাকিবুল ইসলাম বলেন-“ আমরা অনেক দিন ঘুরাঘুরির পর রোববার টাকা ফেরত পায়। কয়েকজন পেয়েছি। অধিকাংশই বাকি আছে।”
এ ব্যাপারে লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বলেন- “বকশীগঞ্জ উপজেলার সকল স্কুলের টাকা ফেরত দেওয়া হলেও ব্যাতিক্রম শুধু লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষক কি কারনে টাকা ফেরত দেননি তিনিই ভালো জানেন। টাকা ফেরত দিলেতো মামলা হতো না।”
এবিষয়ে লাউচাপড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন- “চলতি বছরের জুন মাসে টাকা ফেরত আসে। ব্যস্ততার জন্য টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হয়নি। এখন ধীরে ধীরে টাকা ফেরত দিচ্ছি।”
বকশীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছরুয়ার আলম বলেন-“এই বিষয়ে আমি এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। লোক মুখে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”
বার্তা/এন