বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দাম কমছে কাগজে-কলমে, আগের দরেই ভোজ্যতেল

ছবি-সংগৃহীত

সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি ১৪ টাকা দাম কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও, নতুন দরে এখনও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। অথচ, নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার থেকেই।

নতুন মূল্যের সয়াবিন তেল রাজধানী ঢাকার কোনো বাজারে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ দাম কমানো হলেও সে দাম মানেননি ব্যবসায়ীরা। মুদি দোকানদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মিল থেকে নতুন দামের তেল এখনও আসেনি। বেশি দামে কেনা থাকায় আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন দরের তেল আসলে তখন বিক্রি করবেন বলে জানান তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে যে গতিতে বেড়ে যায়, কমানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পরও তা কমতে দেখা যায় না। ফলে কাগজে-কলমে কমানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়ান বা কমান।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার কারওয়ানবাজারে তেল কিনতে আসেন নাজমুল হাসান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘গণমাধ্যমে শুনি দাম কমেছে, দাম কমেছে। কিনতে গেলে দেখি আগের দরই। তাহলে কাগজে-কলমে কমিয়ে কী লাভ?’

কয়েকজন মুদি দোকানি জানান, দাম কমানোর আগে কৌশলে ডিলারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমাণে তেল সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। এরপর হুট করে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বিপদে পড়ি আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা।

তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন দরের তেল বাজারে পৌঁছে যাবে, এমনটি বলছে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।

এর আগে, ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সদস্যরা বর্তমানে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং টি কে গ্রুপের এমডি মোস্তফা হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্যতেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র-আরটিভি–

 

দাম কমছে কাগজে-কলমে, আগের দরেই ভোজ্যতেল

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি ১৪ টাকা দাম কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও, নতুন দরে এখনও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। অথচ, নতুন দর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার থেকেই।

নতুন মূল্যের সয়াবিন তেল রাজধানী ঢাকার কোনো বাজারে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ দাম কমানো হলেও সে দাম মানেননি ব্যবসায়ীরা। মুদি দোকানদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মিল থেকে নতুন দামের তেল এখনও আসেনি। বেশি দামে কেনা থাকায় আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন দরের তেল আসলে তখন বিক্রি করবেন বলে জানান তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে যে গতিতে বেড়ে যায়, কমানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পরও তা কমতে দেখা যায় না। ফলে কাগজে-কলমে কমানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়ান বা কমান।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার কারওয়ানবাজারে তেল কিনতে আসেন নাজমুল হাসান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘গণমাধ্যমে শুনি দাম কমেছে, দাম কমেছে। কিনতে গেলে দেখি আগের দরই। তাহলে কাগজে-কলমে কমিয়ে কী লাভ?’

কয়েকজন মুদি দোকানি জানান, দাম কমানোর আগে কৌশলে ডিলারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমাণে তেল সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। এরপর হুট করে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বিপদে পড়ি আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা।

তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন দরের তেল বাজারে পৌঁছে যাবে, এমনটি বলছে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।

এর আগে, ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সদস্যরা বর্তমানে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং টি কে গ্রুপের এমডি মোস্তফা হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্যতেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র-আরটিভি–