শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রর্থীদের। দুই স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী নির্বাচন আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী রয়েছেন। একজন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, অপর দুইজন স্বতন্ত্র খুলনা বিএমএর সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা জেলা ক্রীড়া পরিষদের সহ সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা । নির্বাচনে শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হমকিসহ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২৮জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫জন প্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে ভোটার রয়েছেন ৯৭৮জন। নির্বাচনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম (আনারস প্রতীক)। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের পক্ষে সিটি ভোটারদের হুমকির অভিযোগ তোলেন।

গত সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রিটানিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। লিখিত অভিযোগে ডা. শেখ বাহারুল বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের (মটর সাইকেল মার্কা) সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওই উন্নয়নের মতবিনিময় হলেও তারা প্রকাশে ভোট প্রার্থনা করেন। প্রার্থী হিসেবে ওই সভায় সভাপতিত্ব করে শেখ হারুনুর রশিদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘণ ও প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র পরিবর্তনের অভিযোগ করেন অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (চশমা প্রতীক)। তিনি বলেন নির্বাচনে নির্বাচনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার বিভিন্ন ভোটরদের হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয়। একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হবে না। অপরদিকে জেলা রিটার্নিক কর্মকর্তা ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তাদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারনায় মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপ মন্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সংসদ সদস্য অংশ নিতে পারবেন না। খুলনায় এই সব পদপর্যাদাদের এই নির্দেশনা মানার জন্য ইতেমাধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বার্তাকণ্ঠ/এন

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের

প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রর্থীদের। দুই স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী নির্বাচন আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী রয়েছেন। একজন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, অপর দুইজন স্বতন্ত্র খুলনা বিএমএর সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম এবং খুলনা জেলা ক্রীড়া পরিষদের সহ সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা । নির্বাচনে শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হমকিসহ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২৮জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫জন প্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে ভোটার রয়েছেন ৯৭৮জন। নির্বাচনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম (আনারস প্রতীক)। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের পক্ষে সিটি ভোটারদের হুমকির অভিযোগ তোলেন।

গত সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রিটানিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। লিখিত অভিযোগে ডা. শেখ বাহারুল বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের (মটর সাইকেল মার্কা) সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওই উন্নয়নের মতবিনিময় হলেও তারা প্রকাশে ভোট প্রার্থনা করেন। প্রার্থী হিসেবে ওই সভায় সভাপতিত্ব করে শেখ হারুনুর রশিদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘণ ও প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র পরিবর্তনের অভিযোগ করেন অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (চশমা প্রতীক)। তিনি বলেন নির্বাচনে নির্বাচনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার বিভিন্ন ভোটরদের হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয়। একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হবে না। অপরদিকে জেলা রিটার্নিক কর্মকর্তা ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তাদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারনায় মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপ মন্ত্রী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সংসদ সদস্য অংশ নিতে পারবেন না। খুলনায় এই সব পদপর্যাদাদের এই নির্দেশনা মানার জন্য ইতেমাধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বার্তাকণ্ঠ/এন