শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করায় যুবকের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল হালিম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী সাইফুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পিয়াজুপাড়া এলাকায়। সে একই এলাকার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। চলে সকাল সাড়ে ১১টা পযর্ন্ত। পঞ্চগড় সরকারী মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন  সাইফুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী। এসময় তার গতিবিধি ওই কক্ষের দ্বায়িত্বরত কক্ষ পর্যবেক্ষকদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে তার শরীর তল্লাশী করে  কানে একটি ডিভাইস খুঁজে পাওয়া যায়। পরে তাকে ডেকে অফিস রুমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার প্যান্টের ভেতর থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

পরে সে তার নিজের দোষ স্বীকার করে নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল হালিম দন্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে তাকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এনেছি। কেউ যেন পাবলিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ইউনিয়ন সমাজকর্মী পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। এর  আগে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাতে বেশ কয়েকজনকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বার্তাকণ্ঠ/এন

নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করায় যুবকের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১০:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

পঞ্চগড়ে ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করায় সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল হালিম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী সাইফুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পিয়াজুপাড়া এলাকায়। সে একই এলাকার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের অধীনে ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। চলে সকাল সাড়ে ১১টা পযর্ন্ত। পঞ্চগড় সরকারী মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন  সাইফুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী। এসময় তার গতিবিধি ওই কক্ষের দ্বায়িত্বরত কক্ষ পর্যবেক্ষকদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে তার শরীর তল্লাশী করে  কানে একটি ডিভাইস খুঁজে পাওয়া যায়। পরে তাকে ডেকে অফিস রুমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার প্যান্টের ভেতর থেকে একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

পরে সে তার নিজের দোষ স্বীকার করে নিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আটোয়ারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল হালিম দন্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে তাকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা এনেছি। কেউ যেন পাবলিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার ইউনিয়ন সমাজকর্মী পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। এর  আগে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাতে বেশ কয়েকজনকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বার্তাকণ্ঠ/এন