ঢাকার কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের সুবর্ণসুর গ্রামে সাত বছরের এক শিশুকে মোবাইল ফোন দেখানোর কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চাশ উর্ধ্ব এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
ধর্ষক আলমগীর হাজম কেরানীগঞ্জ মডেল থানার চররুহিতপুর ইউনিয়নের মৃত- মজিবর আলীর ছেলে।
আলমগীর শিশু মেয়েটির প্রতিবেশি। ওই গ্রামের সবাই তাকে নানা বলে ডাকতো। কিন্তু এই বয়স্ক ব্যক্তির কান্ড দেখে সবাই হতবাক হয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ধর্ষক ঘাতক আলমগীর সাত বছরের এক শিশুকে তার নিজ ঘরে মোবাইল ফোন দেখানোর কথা বলে ডেকে এনে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় শিশুর খালা শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক।
ধর্ষণের পর শিশু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসাপাতালে ভর্তি করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কা জনক।
মামলার বাদী খালা স্বানালী বলেন, আলমগীর সম্পর্কে এলাকার নানা ভাই হয়। শিশু মেয়েটিকে খাবার কিনে দেয়া ও মোবাইলফোন চালাতে দেবে বলে আলমগীর তার ঘুমানো শয়ন কক্ষে নিয়ে তার বোনের মেয়েকে ধর্ষন করেন। ধর্ষক আলমগীরের সাথে গতকাল মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে এ ঘটনার কথা কাউকে না বলতে বলে। কাউকে বললে সে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেয়।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বলেন, ধর্ষক আলমগীরের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
বার্তাকণ্ঠ/এন