শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দশ চাকার ডাম্প ট্রাকে গ্রামীণ সড়কের সর্বনাশ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা কয়লা, মাটি ও বালু বহনের কাজ ব্যবহার করছেন ডাম্প ট্রাক। মাত্রাতিরিক্ত লোড নিয়ে দিনে-রাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১০ চাকার এসব ডাম্প ট্রাক। এতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে সড়কের। আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে ডাম্প ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ। ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে, হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, সিঙ্গাইর-বায়রা সড়ক, বাস্তা-মানিকনগর সড়ক, মানিকনগর-সিরাজপুর সড়ক, গোবিন্দল-চারিগ্রাম সড়ক ও ঋষিপাড়া-বলধারা সড়কে অবাধে চলছে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক। এতে আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গা দেবে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে অনেক গ্রামীণ সড়কে। আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে সর্বোচ্চ ১০ টন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করার কথা। সেখানে মাটি ও কয়লাবাহী ডাম্প ট্রাকগুলো ৩০-৪০ টন লোড নিয়ে চলাচল করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাসড়কটি। এ ছাড়া সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
একটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামির্ত্তা-হাতনি এলাকায় মালেক, আয়নাল, সাইফুল, দানেজ, খোকন, সাহানুর, ইয়াসিন, রউফ, সুলতান, বাচ্চু ও রাশেদ ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি ও বালু পরিবহনের ব্যবসা করছেন। এ ছাড়া বলধারায় কুদ্দুস কোম্পানী ও নুরু কোম্পানীর মালিকানাধীন ইটভাটাগুলোতেও মাটি এবং কয়লা বহনে ডাম্প ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডাম্প ট্রাকের চালক মো. নান্নু বলেন, ‘বিনোদপুর থেকে বালু ভরে আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জের অরঙ্গবাদ যাচ্ছি। এই সড়কে ডাম্প ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আমার জানা নেই। মালিক আমাদের যে সড়কে গাড়ি চালাতে বলবেন আমরা সেই রাস্তায় চালাব।’
উপজেলার বাস্তা এলাকার মো. রাসেল মিয়া বলেন, দিনে-রাতে এসব ডাম্প ট্রাক চলাচল করায় জনজীবন অতিষ্ঠ। ওভারলোড করে বালু পরিবহন করায় রাস্তার ওপরে বালু পড়ে। রাস্তার পাশের বাড়িঘরে চলে যায় সেই বালু। প্রতিবাদ করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ডাম্প ট্রাকের চলাচল। এ বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে ডাম্প ট্রাক আটক করি। পরে সিঙ্গাইরের সড়কগুলোতে না চালানোর শর্তে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে সে ক্ষেত্রেও পুলিশ সহায়তা করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপন দেব নাথ বার্তাকন্ঠকে বলেন, ‘সিঙ্গাইর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক চলাচলের বিষয়টি শুনেছি। শিগগিরই এসব যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
বার্তাকণ্ঠ/এন

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

দশ চাকার ডাম্প ট্রাকে গ্রামীণ সড়কের সর্বনাশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা কয়লা, মাটি ও বালু বহনের কাজ ব্যবহার করছেন ডাম্প ট্রাক। মাত্রাতিরিক্ত লোড নিয়ে দিনে-রাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১০ চাকার এসব ডাম্প ট্রাক। এতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে সড়কের। আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে ডাম্প ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ। ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে, হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, সিঙ্গাইর-বায়রা সড়ক, বাস্তা-মানিকনগর সড়ক, মানিকনগর-সিরাজপুর সড়ক, গোবিন্দল-চারিগ্রাম সড়ক ও ঋষিপাড়া-বলধারা সড়কে অবাধে চলছে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক। এতে আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন জায়গা দেবে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে অনেক গ্রামীণ সড়কে। আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে সর্বোচ্চ ১০ টন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করার কথা। সেখানে মাটি ও কয়লাবাহী ডাম্প ট্রাকগুলো ৩০-৪০ টন লোড নিয়ে চলাচল করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাসড়কটি। এ ছাড়া সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
একটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামির্ত্তা-হাতনি এলাকায় মালেক, আয়নাল, সাইফুল, দানেজ, খোকন, সাহানুর, ইয়াসিন, রউফ, সুলতান, বাচ্চু ও রাশেদ ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি ও বালু পরিবহনের ব্যবসা করছেন। এ ছাড়া বলধারায় কুদ্দুস কোম্পানী ও নুরু কোম্পানীর মালিকানাধীন ইটভাটাগুলোতেও মাটি এবং কয়লা বহনে ডাম্প ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডাম্প ট্রাকের চালক মো. নান্নু বলেন, ‘বিনোদপুর থেকে বালু ভরে আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জের অরঙ্গবাদ যাচ্ছি। এই সড়কে ডাম্প ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আমার জানা নেই। মালিক আমাদের যে সড়কে গাড়ি চালাতে বলবেন আমরা সেই রাস্তায় চালাব।’
উপজেলার বাস্তা এলাকার মো. রাসেল মিয়া বলেন, দিনে-রাতে এসব ডাম্প ট্রাক চলাচল করায় জনজীবন অতিষ্ঠ। ওভারলোড করে বালু পরিবহন করায় রাস্তার ওপরে বালু পড়ে। রাস্তার পাশের বাড়িঘরে চলে যায় সেই বালু। প্রতিবাদ করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ডাম্প ট্রাকের চলাচল। এ বিষয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে ডাম্প ট্রাক আটক করি। পরে সিঙ্গাইরের সড়কগুলোতে না চালানোর শর্তে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে সে ক্ষেত্রেও পুলিশ সহায়তা করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপন দেব নাথ বার্তাকন্ঠকে বলেন, ‘সিঙ্গাইর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক চলাচলের বিষয়টি শুনেছি। শিগগিরই এসব যানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’
বার্তাকণ্ঠ/এন