শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসি-এসপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ প্রতিপালন না করায় খুলনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড মেন্টেইন্যান্স ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান, ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘ইউনাইটেড দ্য কিল রিভার্স’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রিট করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার এসি ল্যান্ডকে সিএসআরএস অনুসারে জরিপ করে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুসারে জেলা প্রশাসন জরিপ করে ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করেন। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর আদালত রুল জারি করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বার্তাকণ্ঠ/এন

ডিসি-এসপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

প্রকাশের সময় : ০৯:৫২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ প্রতিপালন না করায় খুলনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড মেন্টেইন্যান্স ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমান, ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘ইউনাইটেড দ্য কিল রিভার্স’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রিট করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার এসি ল্যান্ডকে সিএসআরএস অনুসারে জরিপ করে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুসারে জেলা প্রশাসন জরিপ করে ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করেন। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর আদালত রুল জারি করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বার্তাকণ্ঠ/এন