শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। জমির উপর পলিথিনের সেট নির্মাণ করে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে এ টমেটো। অফ সিজনে টমেটো চাষ করে ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক আগ্রহ দেখা দিচ্ছে। জুন- জুলাই মাসে টমেটো চাড়া রোপন করে আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। শীতকালীন টমেটো সংরক্ষন করে গ্রীষ্মকালে খেলে এর পুষ্টি গুন নস্ট হয়ে যায়। তাই গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত টমেটো টাটকা হওয়ায় ও এর পুষ্টিগুন ভালো হওয়ায় বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে এবং কৃষক ভালো দামও পাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর কলাতিয়া ও হযরতপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বানিজ্যিক ভারে গ্রীষ্মকালীন  টমেটো চাষ হচ্ছে। এ টমেটো কেরানীগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

রোহিতপুর ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ তার কাছে নতুন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবছরেই প্রথম তিন শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে শীতকালীন সময় উৎপাদিত সমপরিমান টমেটো এসময় উৎপাদিত হচ্ছে। শীতকালীন সময় আমরা টমেটো ১০/১৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করি এতে উৎপাদন খরচ বাদে বেশি একটা লাভ থাকেনা। আর এবছর গ্রীষ্মকালীন সময় উৎপদিত টমেটো আমি ১২০/১৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে কিক্রি করেছি। প্রথম বছর অল্প জমিতে টমেটো চাষ করলেও ভালো লাভোবান হয়েছেন তিনি।

কলাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক মহাসিন মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তার জমিতে এসে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবছর গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ করে ভালো ফলন চেয়েছি এবং ভালো লাভোবান হয়েছেন। আগামী বছর আরো বেশী জমিতে গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ করবেন তিনি।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আমীন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময টমেটো চাষ কৃষকদের কাছে সম্পুর্ণ নতুন। তারা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপরে উৎসাহ, প্রশিক্ষন ও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। ফলে এবছর কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো আবাদ করে ভালো লাভোবান হন তারা। তিনি বলেন- গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ পদ্ধতি কিছুটা ব্যতিক্রম।বৃষ্টিতে টমেটো গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না যায় এজন্য প্রতিটি গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উচু করে দিতে হয়। অতি বৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপের হাত থেকে রক্ষর জন্য টমেটো গাছের উপর পলিথিনের সেট তৈরী করতে হয়। শীতকালীন সংরক্ষন করা টমেটোর চেয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো টাটকা হওয়ায় এর পুষ্টিগুন বেশী থাকায় এ টমেটোর প্রতি জনগনের আগ্রহও বেশী। এছাড়ও বাজার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

বার্তাকণ্ঠ/এন

কেরানীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো

প্রকাশের সময় : ১১:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। জমির উপর পলিথিনের সেট নির্মাণ করে বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে এ টমেটো। অফ সিজনে টমেটো চাষ করে ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যপক আগ্রহ দেখা দিচ্ছে। জুন- জুলাই মাসে টমেটো চাড়া রোপন করে আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। শীতকালীন টমেটো সংরক্ষন করে গ্রীষ্মকালে খেলে এর পুষ্টি গুন নস্ট হয়ে যায়। তাই গ্রীষ্মকালে উৎপাদিত টমেটো টাটকা হওয়ায় ও এর পুষ্টিগুন ভালো হওয়ায় বাজারে এর ভালো চাহিদা রয়েছে এবং কৃষক ভালো দামও পাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর কলাতিয়া ও হযরতপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বানিজ্যিক ভারে গ্রীষ্মকালীন  টমেটো চাষ হচ্ছে। এ টমেটো কেরানীগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

রোহিতপুর ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ তার কাছে নতুন। তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে এবছরেই প্রথম তিন শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেন। বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে শীতকালীন সময় উৎপাদিত সমপরিমান টমেটো এসময় উৎপাদিত হচ্ছে। শীতকালীন সময় আমরা টমেটো ১০/১৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করি এতে উৎপাদন খরচ বাদে বেশি একটা লাভ থাকেনা। আর এবছর গ্রীষ্মকালীন সময় উৎপদিত টমেটো আমি ১২০/১৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে কিক্রি করেছি। প্রথম বছর অল্প জমিতে টমেটো চাষ করলেও ভালো লাভোবান হয়েছেন তিনি।

কলাতিয়া ইউনিয়নের কৃষক মহাসিন মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তার জমিতে এসে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের পদ্ধতি শিখিয়েছেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবছর গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ করে ভালো ফলন চেয়েছি এবং ভালো লাভোবান হয়েছেন। আগামী বছর আরো বেশী জমিতে গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো চাষ করবেন তিনি।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আমীন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময টমেটো চাষ কৃষকদের কাছে সম্পুর্ণ নতুন। তারা কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপরে উৎসাহ, প্রশিক্ষন ও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। ফলে এবছর কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন সময় টমেটো আবাদ করে ভালো লাভোবান হন তারা। তিনি বলেন- গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ পদ্ধতি কিছুটা ব্যতিক্রম।বৃষ্টিতে টমেটো গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না যায় এজন্য প্রতিটি গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উচু করে দিতে হয়। অতি বৃষ্টি ও অতিরিক্ত তাপের হাত থেকে রক্ষর জন্য টমেটো গাছের উপর পলিথিনের সেট তৈরী করতে হয়। শীতকালীন সংরক্ষন করা টমেটোর চেয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো টাটকা হওয়ায় এর পুষ্টিগুন বেশী থাকায় এ টমেটোর প্রতি জনগনের আগ্রহও বেশী। এছাড়ও বাজার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

বার্তাকণ্ঠ/এন