বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোংলায় প্রথমবারের মতো সংবিধান দিবস পালন

মোংলায়ও প্রথম বারের মতো পালিত হলো জাতীয় সংবিধান দিবস।১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে অবশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার’র সভাপতিত্বে ইউএনও’র রুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সবাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক,উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,সোমবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালন করার নির্দেশ দেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন। পরবর্তী সময়ে ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন।
আদেশ অনুযায়ী,১৯৭০ এবং ৭১ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা গণপরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হন।এই গণপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৩০ জন।জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান করা হয়। সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত হয় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ৩৪ জন।এই কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে।সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর। এরপর ৪ নভেম্বর তা গৃহীত হয় গণপরিষদে।আলোচনাসভা শেষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার উপস্থিত সকলকে মোবাইল থেকে “বাংলাদেশ সংবিধান” এর এ্যাপস ডাউনলোড করান।
বার্তাকণ্ঠ/এন

মোংলায় প্রথমবারের মতো সংবিধান দিবস পালন

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
মোংলায়ও প্রথম বারের মতো পালিত হলো জাতীয় সংবিধান দিবস।১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে অবশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার’র সভাপতিত্বে ইউএনও’র রুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা সবাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক,উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,সোমবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রতি বছর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালন করার নির্দেশ দেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন। পরবর্তী সময়ে ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন।
আদেশ অনুযায়ী,১৯৭০ এবং ৭১ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা গণপরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হন।এই গণপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৩০ জন।জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান করা হয়। সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত হয় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ৩৪ জন।এই কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে।সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর। এরপর ৪ নভেম্বর তা গৃহীত হয় গণপরিষদে।আলোচনাসভা শেষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার উপস্থিত সকলকে মোবাইল থেকে “বাংলাদেশ সংবিধান” এর এ্যাপস ডাউনলোড করান।
বার্তাকণ্ঠ/এন