বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পূর্ব সুন্দরবনে ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু

পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চরে আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব।  প্রতিবছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সুন্দরবনের দুবলার চরে আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাসপূর্ণিমায় তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য বন বিভাগ
পাঁচটি নৌপথ নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত পাঁচটিপথ হলো-১.শরণখোলার বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলার চর। ২. কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। ৩. নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ৪. ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর। ৫. বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বল নদী-পাটকোস্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর।
বন বিভাগের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বনের ভেতরের পাঁচটি পথ দিয়ে মেলায় যাচ্ছে ধর্মের উৎসুক লোকজন। এদিকে রাস মেলাকে ঘিরে গোটা সুন্দরবনে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সুন্দরবনের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে  বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও তীর্থযাত্রীদের সুন্দরবন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিজেদের জ্বালানি সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে। কোনো রকম মাংস বহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তীর্থযাত্রীরা কোনো রকম বনজ সম্পদ যাতে বিনষ্ট না করে সে জন্যও নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। মেলাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বন থেকে হরিণ শিকার করতে না পারে, সে জন্য এবারও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বন বিভাগের বিশেষ দল কাজ শুরু করেছে।এ ছাড়া বন বিভাগের স্মার্ট প্যাট্রল টিমও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। দুবলার চরে মেলার তিন দিন বন বিভাগের আরও তিনটি টহল দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে
রাস উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবারও খুবই স্বল্প পরিসরে রাস উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, এ বছর সবার সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠুভাবে এই উৎসব সম্পন্ন করব।’
বার্তাকণ্ঠ/এন

পূর্ব সুন্দরবনে ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চরে আজ রবিবার (৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব।  প্রতিবছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সুন্দরবনের দুবলার চরে আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাসপূর্ণিমায় তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য বন বিভাগ
পাঁচটি নৌপথ নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত পাঁচটিপথ হলো-১.শরণখোলার বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলার চর। ২. কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। ৩. নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ৪. ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর। ৫. বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বল নদী-পাটকোস্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর।
বন বিভাগের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বনের ভেতরের পাঁচটি পথ দিয়ে মেলায় যাচ্ছে ধর্মের উৎসুক লোকজন। এদিকে রাস মেলাকে ঘিরে গোটা সুন্দরবনে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সুন্দরবনের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে  বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও তীর্থযাত্রীদের সুন্দরবন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিজেদের জ্বালানি সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে। কোনো রকম মাংস বহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তীর্থযাত্রীরা কোনো রকম বনজ সম্পদ যাতে বিনষ্ট না করে সে জন্যও নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। মেলাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বন থেকে হরিণ শিকার করতে না পারে, সে জন্য এবারও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বন বিভাগের বিশেষ দল কাজ শুরু করেছে।এ ছাড়া বন বিভাগের স্মার্ট প্যাট্রল টিমও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। দুবলার চরে মেলার তিন দিন বন বিভাগের আরও তিনটি টহল দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে
রাস উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবারও খুবই স্বল্প পরিসরে রাস উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি, এ বছর সবার সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠুভাবে এই উৎসব সম্পন্ন করব।’
বার্তাকণ্ঠ/এন